গাজীপুরে এক্সট্রা মোহরারগণ (নকল নবিশ) টানা ৮ দিন ধরে কর্মবিরতি পালন করে আসছে। এতে করে জেলার সাব রেজিস্ট্রি অফিসগুলোতে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। নকল নবিশরা কোনো দলিলের নকল এবং দলিল সরবরাহ করেছেনা।জেলার প্রায় ৭ শতাধিক নকল নবিশ একযোগে এ কর্মবিরতি পালন করায় তারা দলিল বালাম বইয়ে লিপিবদ্ধ করা থেকেও বিরত রয়েছেন। ফলে প্রতিদিন শত শত লোক রেজিস্ট্রি অফিসে এসে দলিলের নকল না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। জমির দলিলের নকল না পাওয়ায় জমির ক্রেতা-বিক্রেতারাও বিপাকে পড়েছেন। তারা জমি কেনা বেচা করতে পারছেন না। এতে করে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।গাজীপুর জেলা এক্সট্রা মোহরার (নকল নবিশ) সমিতির সভাপতি মোসাব্বির উদ্দিন আহমেদ কিরণ ও সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ আলী জানান, কালীগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রি অফিসের অফিস সহকারী পেনশন পূর্ব প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে (এলপিআর) যাওয়ার পর ওই পদে গাজীপুর জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয় থেকে নিম্নমান সহকারী নুরুল ইসলাম নূরুকে সম্প্রতি অফিস সহকারী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ওই নিয়োগ বিধিসম্মত হয়নি আখ্যা দিয়ে জেলার নকল নবিশ সমিতি প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিল। নুরুল ইসলাম নূরুকে প্রত্যাহারের দাবিতে গত ৩ জানুয়ারি থেকে তারা লাগাতার কর্মবিরতি করে আসছেন। এক্সট্রা মোহরার নেতৃবৃন্দ জানান, একজন এক্সট্রা মোহরার দীর্ঘদিন কাজ করার পর অভিজ্ঞতার আলোকে মোহরার পদে পদোন্নতি পায়। পরে মোহরার থেকে অফিস সহকারী পদে নিয়োগ পায়। নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, ২০-২৫ বছর এক্সট্রা মোহরার হিসেবে কাজের পর অফিস সহকারী পদটি অনেক কাঙ্খিত। সিনিয়র মোহরারদের বঞ্চিত করে জেলা রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের নিন্মমান সহকারী নুরুল ইসলাম নুরুকে কালিগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে অফিস সহকারীর দায়িত্ব-দেওয়া হয়েছে। অবিলম্বে কালিগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রি অফিসের অফিস সহকারী নুরুল ইসলাম নুরুকে গাজীপুর জেলা কার্যালয়ে ফিরিয়ে আনা না হলে অবস্থান কর্মসূচিসহ আরো কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।জেলা রেজিস্ট্রার জিয়াউল হক জানান, নূরুল ইসলাম নূরুকে কালীগঞ্জ অফিসে প্রেষণে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই মোহরারদের থেকে একজনকে স্থায়ীভাবে নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এসংক্রান্ত চিঠি সোমবার আইজিআর অফিসে পাঠানো হয়েছে। আমিনুল ইসলাম/ এমএএস/পিআর
Advertisement