রাজধানীর বনানী এলাকায় ড্রিম টুগেদার লিমিটেড এর একটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে বিশ লাখ টাকা মূল্যের অনুমোদনহীন ওষুধ ও কসমেটিকস জব্দ করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ ঘটনায় ২ জনকে আটক করে র্যাব-২ সদস্যরা। পরে র্যাব পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই দু’জনকে ৬ লাখ টাকা জরিমানা করে। আটক ও জরিমানা প্রাপ্তরা হলেন, প্রতিষ্ঠানটির মালিক মাইন উদ্দিন (৪১) ও সহকারী ম্যানেজার শোয়েব আহম্মেদ (৩৩)। সোমবার দুপুর ১২ হতে ২ পর্যন্ত র্যাব-২ এর উপ-পরচিালক দিদারুল আলম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সির নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র্যা বের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। এসময় ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের প্রতিনিধি সৈকত কুমার কর, স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরির্দশক মো. ওজিউল্লাহ এবং বিএসটিআই এর ফিল্ড অফিসার মনির হোসেন উপস্থিত ছিলেন। র্যাব-২ এর উপ-পরচিালক দিদারুল আলম বলেন, রাজধানীর বনানী এলাকায় ড্রিম টুগেদার লিমিটেডে অভিযান পরিচালনা করে কারখানা হতে ড্রিম ত্রিফলা চূর্ণ, নিম ন্যাচারাল টুথপেস্ট, ব্লাক হেয়ার শাম্পু, অ্যালোভেরা ন্যাচারাল শাম্পু, ড্রিম নাইজেলা ক্যাপ, ড্রিম গ্লুকো কন্ট্রোল, ড্রিম সয়া প্রোটিন, ডি-পাওয়ার এক্স, অ্যালোভারা ন্যাচারাল লাক্সারি, DREMOVIT, RUCHITA SUPER, STOFINE, LECURE, LIVDONIL, LEVO CARE, URONIL,dream X, Cardiosolve, আর্থোকিল, আর্থোমিট, ডায়াকিউর, স্কিন কেয়ারসহ বিভিন্ন ধরনের এক লাখ দশ হাজার পিস ট্যাবলেট ও ক্যাপসুল জব্দ করা হয়। এছাড়া ৫ হাজার বোতল সিরাপ জব্দ করা হয় যার আনুমানিক মূল্য ২০ লাখ টাকা। জিজ্ঞাসাবাদে ড্রিম টুগেদার লিমিলেডের এর মালিক মাইন উদ্দিন জানান, বেশ কয়েক বছর আগে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানের ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের কোন লাইসেন্স নেই। ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর ও বিএসটিআই এর অনুমোদন ব্যতিরেকে মাল্টিলেভেল মার্কেটিং কোম্পানির মত হকারের মাধ্যমে রাস্তায় রাস্তায় ওষুধ বিক্রয় করে আসছে যা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অনুমোদন ছাড়াই বিএসটিআই এর মানচিত্র ব্যবহার করে আসছে এবং আমদানিকৃত ওষুধের কোনো নিবন্ধনও নেই প্রতিষ্ঠানটির। এসব মানহীন ও ভেজাল ওষুধ মানবদেহে বিভিন্ন জটিল রোগ যেমন আলসার, গ্যাসট্রিক, বহুমুত্র, যৌন দুর্বলতাসহ বিভিন্ন রোগের পথ্য হিসেবে সরবরাহ করে আসছিল। অন্যদিকে বিভিন্ন স্বনামধন্য কোম্পানির ৪০ ধরনের ওষুধ অবৈধভাবে উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ, ডায়াগনস্টিক ল্যাবে উৎপাদনের তারিখ বিহীন ও মেয়াদউত্তীর্ণ রিএজেন্ট থাকা, ল্যাবে রিএজেন্ট নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় সংরক্ষণ না করা, ল্যাব টেকনিশিয়ান না থাকাসহ নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ল্যাব পরিচালনা করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন ড্রিম টুগেদার লি. এর মালিককে ১৯৪০ সনের ড্রাগ এ্যাক্টের ১৮ (সি) ও বিএসটিআই অধ্যাদেশ, ১৯৮৫ এর ২৪/১৯ ধারা মোতাবেক ৫ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন। এছাড়া সহকারী ম্যানেজার শোয়েব আহম্মেদকে এক লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ১ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন।জেইউ/এসএইচএস/পিআর
Advertisement