দেশজুড়ে

ভোলার ইলিশা ফেরিঘাট সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত

ভোলা-লক্ষ্মীপুর মহাসড়কের ইলিশা ফেরিঘাট এলাকায় ফের মেঘনার ভাঙন দেখা দেয়ায় ফেরি চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।  একারণে ভোলার ইলিশা ফেরিঘাট জুরুরি ভিত্তিতে সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠকে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রাখতে কয়েকটি প্রস্তাব পাশ হয়েছে। ভোলা অংশে জোড়খাল এলাকায় ফেরিঘাট সরিয়ে নিতে এলজিইডির অর্থায়নে দ্রুত সড়ক নির্মাণ করারও সিদ্ধান্ত হয় ওই বৈঠকে। নৌমন্ত্রণালয়ের সবিচ ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।  সোমবার বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী শাহনেওয়াজ কবির গতকালের বৈঠকে সিদ্ধান্তের বিষয় নিশ্চিত করেন।  অপরদিকে ওই মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রফিকুল ইসলাম, ভোলা জেলা প্রশাসক মো. সেলিম রেজা রোববার ভোলার ইলিশা ফেরিঘাট এলাকার ভাঙন পরির্দশন করেন। এসময় ভাঙন ঠেকাতে জরুরী ভিত্তিতে সিসিব্লক স্থাপনের প্রস্তাব করেন বিআরডব্লিউটিসি’র কর্মকর্তরা। দেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের ১৬ জেলার সহজ যোগাযোগের জন্য এ রুটটি গত ৭ বছরে একটি জনবহুল গুরুত্বপূর্ণ রুট হিসেবে গণ্য হচ্ছে। প্রতিদিন চট্টগ্রাম থেকে খুলনা অঞ্চলে ব্যবসায়িক পণ্য পরিবহনে এ রুটে ২৪০ কিলোমিটার দূরত্ব কমে যায়। তাই বর্ষার আগেই ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে স্থানীয়দের আন্দোলনও অব্যাহত রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হাকিম জানান, ভোলার ইলিশা এলাকা নদী ভাঙন থেকে রক্ষার জন্য ৩১০ কোটি টাকার প্রকল্প নেয়া হয়েছে। পানিসম্পদ মন্ত্রীর নির্দেশে টেন্ডার আহ্বানের প্রক্রিয়াও করা হয়েছে। কিন্তু একনেকের সভায় প্রকল্প অনুমোদন না হওয়ায় কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। একনেকের অনুমোদনে বিলম্ব হলে আগামী বর্ষার আগে কাজ শুরুর বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। ফলে নতুন এ ফেরিঘাটও রক্ষা করা সম্ভব হবে না বলে জানান ফেরির দায়িত্বে থাকা ম্যানেজার মো. আবু আলম।বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী শাহ নেওয়াজ কবির জানান, দ্রুত ফেরিঘাট সংস্কারের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়েছে। ঠিকাদাররা দু-একদিনের মধ্যে ঘাটের র্যাম সরিয়ে সংস্কার করে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাবে। অপরদিকে সড়ক বিভাগও সাড়ে ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি বিকল্প সড়ক নির্মাণ করার প্রস্তাবও আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে জানানো হয়েছে।অমিতাভ অপু/এমএএস/আরআইপি

Advertisement