বাংলাদেশের সার আমদানিতে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতির প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) চেয়ারম্যান এ এফ এম হায়াতুল্লাহ। এর প্রভাবে দেশের বাজারে সারের দাম বেড়ে যেতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
Advertisement
বিএডিসি চেয়ারম্যান বলেন, রাশিয়া, বেলারুশ, মরক্কো, তিউনিশিয়া ও সৌদি আরব—এই পাঁচটি দেশে সার উৎপাদন হয়। আমাদের দেশের কৃষি সারের ওপর নির্ভরশীল। রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যে যুদ্ধ পরিস্থিতি চলছে তার প্রভাব পড়তে পারে সার আমদানিতে। সার আমদানিতে এর প্রভাব পড়লে আমাদের কৃষি চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রের নতুন দফতরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বিএডিসি চেয়ারম্যান এ এফ এম হায়াতুল্লাহ।
বিএডিসি চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আমাদের দেশে ইউরিয়া কিছুটা উৎপাদিত হয়। তবে অধিকাংশই বাইরে থেকে আমদানি করতে হয়। নন ইউরিয়া সারের প্রায় ৯০ ভাগই বাইরের দেশ থেকে আমদানি করতে হয়।’
Advertisement
তিনি বলেন, রাসায়নিক সার মাটির জন্য ক্ষতিকর। তাই বিএডিসির জমিতে জৈবসার উৎপাদন করার পরিকল্পনা রয়েছে। যেন দীর্ঘ সময় রাসায়নিক সারের ওপর নির্ভরশীলতা কমে। এমআইইএফ প্রকল্পের আওতায় চুয়াডাঙ্গা বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রের নতুন দফতরের নির্মাণকাজের ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৩ লাখ ৭৬০ টাকা।
উদ্বোধনের পর নতুন দফতর ঘুরে দেখেন বিএডিসি চেয়ারম্যান। পরে ভবনের সভাকক্ষে স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
এসময় বিএডিসি সচিব আশরাফুজ্জামান, মহাব্যবস্থাপক (বীজ) প্রদীপ চন্দ্র দে, প্রধান প্রকৌশলী (ক্ষুদ্রসেচ) ধীরেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ, অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক (বীপ্রস) আব্দুল মালেক, বিএডিসি পশ্চিমাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাফরুল্লাহ, ব্যবস্থাপক (খামার) রিপন কুমার মণ্ডল, চুয়াডাঙ্গা বিএডিসির যুগ্ম-পরিচালক (বীপ্র) সেলিম হায়দার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সালাউদ্দীন কাজল/এসআর/এএসএম
Advertisement