দেশজুড়ে

৩৭ কেজির ‘টুক্কু মিয়া’ বিক্রি হবে ১০ লাখে, দাম উঠেছে ৬ লাখ

নাম টুক্কু মিয়া। উচ্চতা ২৯ ইঞ্চি। ৩৭ কেজি ওজনের দুই বছর বয়সী খর্বাকৃতির গরুটির দাম উঠেছে ছয় লাখ টাকা। তারপরও এই দামে বিক্রি করেননি মালিক। ১০ লাখ টাকা হলে বিক্রি করার কথা জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার চর ঝাউকান্দা ইউনিয়নের চর কল্যাণপুর গ্রামের কৃষক শেখ ছরোয়ারের ঘরে পালিত হচ্ছে গরুটি। ছরোয়ার উপজেলার চর কল্যাণপুর গ্রামের শেখ আফাজ উদ্দিনের ছেলে। স্ত্রী, তিন মেয়ে ও দুই ছেলে নিয়ে তার সংসার।

কৃষক শেখ ছরোয়ার জানান, দুই বছর বয়সী টুক্কুর দাম উঠেছে ছয় লাখ টাকা। তার দাবি, এটি দেশের সবচেয়ে ছোট গরু কি না বলতে পারবেন না, তবে ফরিদপুর জেলার মধ্যে সবচেয়ে ছোট টুুক্কু মিয়া।

শেখ ছরোয়ারের স্ত্রী রিনা বেগম জাগো নিউজকে বলেন, “আমাদের গৃহপালিত গাভির পেটে ছোট গরুটির জন্ম। আকারে, ওজনে, উচ্চতায় ছোট। তাই আদর করে আমরা গরুটির নাম রেখেছি ‘ছোট্ট টুক্কু মিয়া’। ভালো দাম পেলে তাকে বিক্রি করতে চাই। আবার অনেক মায়া লাগে। এরই মধ্যে ছয় লাখ টাকা দাম উঠেছে কিন্তু বিক্রি করিনি।”

Advertisement

গরুটির মালিক শেখ ছরোয়ার জাগো নিউজকে বলেন, ‘তাকে দিনে দুই তিনবেলা খেতে দিতে হয়। তাজা ঘাস আর ধানের কুড়া তার প্রধান খাবার। এছাড়া অন্য কোনো খাবার সে খায় না। অন্য গরুর সঙ্গেই তাকে রাখা হয়। অন্য গরুর তুলনায় এর খাবারও লাগে কম।’

তিনি আরও বলেন, ‘গ্রামের শেখ আইয়ুব হোসেন শখ করে গরুটি কিনতে চান। তিনি ৬ লাখ টাকা দামে কিনতে রাজি আছেন। কিন্তু ১০ লাখ টাকা হলে আমরা গরুটি বিক্রি করবো।’

স্থানীয় বাসিন্দা সাজ্জাত হোসেন বলেন, ‘গরুটি দেখতে প্রায় প্রতিদিনই ছরোয়ারের বাড়িতে মানুষ ভিড় করছেন। জেলার মধ্যে তো বটেই, দেশের মধ্যেও এটি সবচেয়ে ছোট গরু হতে পারে।’

গরুটি কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করা শেখ আইয়ুব হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমার তিন ছেলে বিদেশে থাকে। গরুটি আমার খুব পছন্দ হয়েছে। শখ করে একে যত্ন করে লালন-পালন করতে চাই। তবে গরুর মালিক ১০ লাখ টাকা দাম চেয়েছে। আমি ৬ লাখ টাকা দাম দেবো বলেছি।’

Advertisement

চরভদ্রাসন উপজেলা প্রাণিসম্পদ ও সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, আমি সরেজমিন পরিদর্শন করে গরুটি দেখেছি। গরুটির মা ছিল দেশি জাতের। ছোট্ট গরুটি সংকর জাতের। ওজন ৩৭ কেজি। উচ্চতা ২৯ ইঞ্চি। বয়স দুই বছর।

তিনি আরও বলেন, ‘উনাদের গিনেস বুকে আবেদনের কথা বলেছিলাম, কিন্তু তারা গরুটি বিক্রি করতে চান। ছয় লাখ টাকা দাম উঠেছে। গরুর মালিক ১০ লাখ টাকা হলে বিক্রি করবেন।’

এ প্রসঙ্গে চরভদ্রাসন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানজিলা কবির ত্রপা বলেন, ‘ছোট গরুটির কথা জেনেছি। উপজেলা প্রাণিসম্পদ ও সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রবিউল ইসলামকে সরেজমিনে পরিদর্শনে পাঠানো হয়েছিল।’

এন কে বি নয়ন/এসআর/এএসএম