নেত্রকোনায় প্রথম মাশরুম চাষ করে এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন রিয়াদুল ইসলাম। লেখাপড়া শেষ করে কোনো চাকরি না পেয়ে বসে থাকেননি তিনি। প্রশিক্ষণ নিয়ে ছোট পরিসরে শুরু করেন মাশরুম চাষ। অল্পদিনে ভালো ফল পাওয়ায় এখন লাভের মুখ দেখছেন রিয়াদুল। সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা পেলে ভবিষ্যতে পরিসর বাড়িয়ে মাশরুম চাষ করার স্বপ্ন দেখছেন তিনি।
Advertisement
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নেত্রকোনা সদর উপজেলার বুড়িজুড়ি গ্রামে শিক্ষিত যুবক রিয়াদুল ইসলাম। পড়াশোনা শেষে চাকরি না পেয়ে আগ্রহী হয়ে ওঠেন মাশরুম চাষে। ইউটিউব দেখে মাশরুম চাষ করার উদ্যোগ নেন। পরে নিজ বাড়ির বসত ঘরে ছোট পরিসরে শুরু করেন মাশরুমের চাষ। মাত্র ত্রিশ হাজার টাকা দিয়ে মাশরুমের চাষ শুরু করে তিন মাসের ব্যবধানে প্রতিদিন আয় হচ্ছে ২৫০০ থেকে ৩০০০ টাকা।
মাশরুম চাষি রিয়াদুল ইসলাম বলেন, ‘পড়াশোনা শেষ করে যখন বাড়িতে বসে আছি তখন বড় ভাইয়ের পরামর্শে সাভার থেকে মাশরুম চাষের প্রশিক্ষণ নিই। এরপর বাবার কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে বসত ঘরের ভেতরে একটা বারান্দায় শুরু করি চাষ। এখন আমি প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ কেজি মাশরুম বিক্রি করতে পারি। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা করে। সরকারি ব্যাংক লোন পেলে বাণিজ্যিকভাবে মাশরুম চাষ করে এলাকার বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে চাই।’
রিয়াদুল ইসলামের বাবা লুৎফর রহমান ও মা সোমা আক্তার বলেন, পড়াশোনা শেষে ছেলে বসে না থেকে কাজ শুরু করেছে। আমরা আগে ধান,পাট শাক-সবজি চাষ করেছি। এ দিয়ে কোনোভাবে সংসার চলে যেতো। কিন্তু এখন ছেলে মাশরুম চাষ করাতে প্রতিদিন ২ থেকে ৩ হাজার টাকা আয় হচ্ছে। তার কাজে আমরাও নিয়মিত সহযোগিতা করছি। এই চাষ দেখতে প্রতিদিন ছুটে আসছেন আশপাশের লোকজন। তারা আমার ছেলের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।
Advertisement
নেত্রকোনা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, জেলা সদরে মাশরুমের চাষ নেই বললেই চলে। মাশরুম একটা পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার। বিভিন্ন প্রশিক্ষণে মাশরুম সম্পর্কে কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। মাশরুম চাষকে আরও ব্যাপকভাবে প্রসার করার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, মাশরুম চাষে কৃষকসহ বেকার যুবকদের প্রশিক্ষণের আওতায় এনে আগ্রহী করে তুললে বেকারত্ব দূর হওয়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা ফিরে আসবে।
এইচ এম কামাল/এমএমএফ/জিকেএস
Advertisement