স্বাস্থ্য

গণটিকার শেষদিনে মিরপুরে মানুষের উপস্থিতি কম

শেষ দিনের মতো রাজধানীর মিরপুরের বিভিন্ন টিকাকেন্দ্রে সকাল থেকে চলছে গণটিকা কার্যক্রম। সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মিরপুরের টিকা কেন্দ্রগুলোতে মানুষের তেমন ভিড় লক্ষ্য করা যায়নি। শৃঙ্খলাভাবে কেন্দ্রে প্রবেশ করে টিকা নিয়ে বেরিয়ে যেতে দেখা গেছে।

Advertisement

মিরপুর মনিপুরে কসমোপলিটন স্কুলে গিয়ে দেখা গেছে, গণটিকা কার্যক্রমের শেষ দিনে সকাল ৯ টা থেকে টিকা কার্যক্রম শুরু করা হলেও দুই তিনজন নারী কেন্দ্রে উপস্থিত রয়েছেন। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের উপস্থিতি কিছুটা বাড়লে গত কয়েক দিনের তুলনায় অনেক কম। সকাল থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ৭০ জন নারী-পুরুষ টিকা নিয়েছেন। মানুষের উপস্থিতি কম থাকায় শৃঙ্খলাভাবে টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেখা গেছে। দূর-দূরান্ত থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ অনেকে টিকা নিতে আসেছেন। অনেকে আবার কাগজপত্র ছাড়াই এসেছেন। গণটিকা কার্যক্রমের আওতায় ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সব মানুষকে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হচ্ছে।

এ কেন্দ্রে টিকা নিতে আসা গাড়িচালক মোহাম্মদ আলমগীর জাগো নিউজকে বলেন, এতদিন কাজকর্মে ব্যস্ত ছিলাম, সময় পাইনি বলে টিকা নেওয়া হয়নি। এছাড়া টিকা নেওয়ার বিষয়ে কিছুটা ভয়ও কাজ করছিল। বর্তমানে পরিবারের অন্যরা টিকা নিয়েছে, টিকা পেতেও ঝামেলা নেই।তাই এসেছি।

মিরপুর বড়বাগ থেকে এসেছেন গৃহিণী মোসাম্মৎ মিম আক্তার। তিনি বলেন, দু'একদিন আগে আমার স্বামী প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন। আজ শেষ দিন হওয়ায় আমি এসেছি। টিকা নেওয়া জরুরি মনে হওয়া লাইনে দাঁড়িয়েছি।

Advertisement

টিকা নিয়ে কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় ৫৭ বছর বয়সী দিলবার বলেন, আগে টিকা নেওয়ার বিষয়ে গুরুত্ব দেয়নি। টিকা নেওয়ার জন্য রোববার ছেলে নিবন্ধন করে দিয়েছে। এছাড়া কেন্দ্রে ভিড় না থাকায় ২০ মিনিটেই টিকা নিয়েছি।

জানতে চাইলে টিকা কার্যক্রমের তত্ত্বাবধানকারী মিরপুর ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইসমাইল মোল্লা বলেন, গত কয়েকদিনে আমার ওয়ার্ডের অধীনে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে আমার ওয়ার্ডের কেন্দ্রগুলো থেকে টিকা নিয়েছেন। সোমবার সকাল ৯ টা থেকে টিকাকার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষের উপস্থিতি থাকবে কার্যক্রম চলবে।

তিনি বলেন, টিকা নিতে মানুষের চাপ কম থাকায় একটি কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হচ্ছে। তবে ১৮ বছরের বয়সের নিচে টিকা নিতে অধিক চাহিদা থাকলেও সরকারি নির্দেশনা না থাকায় তাদের দেওয়া সম্ভব হয়নি। তাদের কাছে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন রয়েছে বলেও জানান।

এমএইচএম/এমএএইচ/এমএস

Advertisement