জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী জিএম কাদের বলেছেন, বর্তমানে মানুষ ভোট প্রদানে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। কেন্দ্রে যাওয়ার আগেই ভোট প্রদান শেষ হয়ে যাচ্ছে। মানুষ স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছে না। মানুষের বাক-স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে সরকার। দেশ এখন এক দলীয় শাসন ব্যবস্থায় চলছে। দেশের শূন্যস্থান পূরণের জন্য জাতীয় পার্টির কোনো বিকল্প নেই। সোমবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদ মিলয়নাতনে জাতীয় পার্টির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।জিএম কাদের বলেন, মানুষের ভোটের অধিকার ও বাক-স্বাধীনতাসহ অন্যান্য মৌলিক অধিকার প্রতিনিয়ত হরণ করা হচ্ছে। প্রশাসনের প্রতিটি স্তরে দুর্নীতি ক্যান্সারের মত ছড়িয়ে পড়ছে, যা রাষ্ট্রযন্ত্রকে দ্রুত জনবিরোধী করে তুলছে। আমাদের প্রত্যাশা অচিরেই পরিত্রাণ পাব, কারণ রাত যত গভীর হয় ভোরের আলো তত নিকটবর্তী হয়। দেশে দমন-নির্যাতনের মাত্রা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। জিএম কাদের আরো বলেন, পাকিস্তান আমলে আমাদের প্রতি যে বৈষম্য, বঞ্চনা ও অধিকার হরণ করা হয়েছিল- তা থেকে মুক্তির জন্যই স্বাধীনতা যুদ্ধ। যে দলটি সবসময় সংগ্রামের কথা বলতো, যে দলটির নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। আর সেই দলটি আজ ক্ষমতায়। অথচ আজ আমরা কী দেখছি ? বরং যেটুকু অর্জিত হয়েছিল তা থেকেও আমরা অনেক কিছু হারিয়ে ফেলছি। দারিদ্রের যাঁতাকলে এখনো আমরা পিষ্ট। এ সময় জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি অ্যাড. এমএ করিমের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক এমপি হাফিজ উদ্দীন আহাম্মেদ, জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় হুইপ আলহাজ শওকত চৌধুরী, জাতীয় পার্টির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব ও জাতীয় যুব সংহতির সভাপতি রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক রেজাউর রাজি স্বপন চৌধুরী প্রমুখ।এ সময় ঠাকুরগাঁওয়ের সাবেক পৌর চেয়ারম্যান এস এম সোলায়মান আলীসহ বিভিন্ন দলের দুই শতাধিক কর্মী জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন। এর আগে অডিটোরিয়াম চত্বরে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়।রবিউল এহ্সান রিপন/এআরএ/আরআইপি
Advertisement