কোলন শহরে নববর্ষের অনুষ্ঠানে নারীদের ওপর যৌন হয়রানির ঘটনা নিয়ে জার্মানিতে ব্যাপক সমালোচনা ও উত্তেজনা চলছে। এর মাঝেই রোববার সন্ধ্যায় বেশ কয়েকজন বিদেশি নাগরিকের ওপর সংঘবদ্ধ একটি চক্র হামলা চালিয়েছে। ওই চক্রটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ব্যবহার করে সংঘবদ্ধ হয়ে বিদেশি নাগরিকদের খুঁজে বের করে হামলা চালায়। খবর আলজাজিরার।নববর্ষের ওই ঘটনার সঙ্গে বিদেশিদের ওপর হামলার কোনো যোগসূত্র রয়েছে কিনা তা তদন্ত করছে পুলিশ। এছাড়া জাতিগত বিদ্বেষ থেকে এ হামলা হয়েছে কিনা সেটিও তদন্তাধীন রয়েছে। স্থানীয় দৈনিক এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফেসবুকের মাধ্যমে যোগাযোগ করে রোববার সন্ধ্যায় কলোনির ব্যবসায়ীক নগরীতে হামলাকারীরা জমায়েত হয়। এরপর বিদেশিদের খোঁজে নামে তারা। ২০ জনের এই চক্রটি ছয় পাকিস্তানির ওপর হামলা চালায়। এদের মধ্যে দুজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনার কয়েক মিনিটের মধ্যে পাঁচ জনের একটি চক্র এক সিরিয়ান নাগরিকের ওপর হামলা চালিয়েছে।পুলিশ বলছে, নববর্ষের যৌন হয়রানি ও জাতিগত বিদ্বেষ থেকে হামলা চালানো হয়েছে কিনা সে বিষয়টি মাথায় রেখে তদন্ত করা হচ্ছে। নববর্ষের অনুষ্ঠানে কলোনিতে অন্তত ৬শ অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলে অভিযোগ পেয়েছে পুলিশ। এদের মধ্যে শরণার্থীরাও জড়িত বলে জার্মান পুলিশ জানিয়েছে। যৌন হয়রানির এ ঘটনার জেরে কলোনির পুলিশ প্রধানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে রাজ্য সরকার।এদিকে যৌন হয়রানির এ ঘটনার জেরে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের সীমান্ত উন্মুক্ত নীতি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। গত বছর যুদ্ধবিধ্বস্ত মধ্যপ্রাচ্যের অন্তত ১০ লাখ শরণার্থী জার্মানিতে প্রবেশ করেছে। এসআইএস
Advertisement