সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পৈতৃক সম্পত্তির ভাগ কন্যাদেরকে না দেওয়া কেন অসাংবিধানিক ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। ওই রুলের শুনানির জন্যে বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করতে মামলাটি প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী দপ্তরে রয়েছে। একইসঙ্গে বাবার সম্পত্তির উত্তরাধিকার থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বী নারীদের বঞ্চিত করার প্রথাগত আইনি বিধির বিষয়ে প্রশ্ন তুলে চারজন অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের বন্ধু) নিয়োগ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
Advertisement
রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার ও রিটকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার খায়রুল আলম চৌধুরী জাগো নিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিয়োগ পাওয়া অ্যামিকাস কিউরিরা হলেন- অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সিনিয়র আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট মো. কমারুল হক সিদ্দিকী।
এছাড়া সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সম্পত্তির বিষয়ে দুজন আইনজীবী ও একজন সাংবাদিকের মতামত শুনবেন আদালত। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সম্পদ বণ্টন নিয়ে সাংবাদিক পুলক ঘটকের কাছে আদালত তার মতামত শুনবেন। এখন এ বিষয়ে অ্যামিকাস কিউরিদের (আদালতের বন্ধু) নিয়ে পরবর্তীতে বিস্তারিত শুনানি হবে।
Advertisement
এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পৈতৃক সম্পত্তির ভাগ কন্যাদেরকে না দেওয়া কেন অসাংবিধানিক ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টসহ সংশ্লিষ্ট আট বিবাদীকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়। এক সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
আদালতে ওইদিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার খায়রুল আলম চৌধুরী। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
ব্যারিস্টার খায়রুল আলম চৌধুরী জাগো নিউজকে ওইদিন জানান, রিটের আট বিবাদীকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলেছেন আদালত।
Advertisement
এর আগে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি সনাতন ধর্মাবলম্বী নারীদের পিতার সম্পত্তির ভাগ না পাওয়া আইনি বিধানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রাজধানীর বনানীর বাসিন্দা মৃত অশোক দাস গুপ্তের কন্যা ব্যবসায়ী অনন্যা দাস গুপ্ত বাদী হয়ে রিটটি দায়ের করেন।
এফএইচ/কেএসআর/জেআইএম