দেশজুড়ে

চৌমুহনীতে স্থগিত হওয়া ১০ কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ আগামীকাল

রাত পোহালেই নোয়াখালীর চৌমুহনী পৌরসভার স্থগিত হওয়া ১০টি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ শুরু হবে। অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন ব্যাপক প্রস্ততি শেষ করেছে। উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে ব্যালট পেপার, সিল, বাক্স, ফলাফল প্রস্তুত বিতরণ ফরম-প্যাকেটসহ নির্বাচনী সামগ্রী পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নোয়াখালী জেলার জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা ও চৌমুহনী পৌরসভার রিটানিং অফিসার মো.মনির হোসেন জাগো নিউজকে জানান, ১০টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণের জন্য প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং, পোলিং অফিসারদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্র পুলিশের সমন্বয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ২৬ জন সদস্য মোতায়েন থাকবে। এছাড়া পাঁচটি মোবাইল টিম, চারটি স্ট্রাকিং ফোর্স, র্যাবের পাঁচটি টিম, দুই প্লাটুন বিজিবি, প্রতি কেন্দ্রে একজন করে নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন থাকবে। এছাড়া নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন নির্বাচন পর্যাবেক্ষক দল মাঠে থাকবে। গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত চৌমুহনী পৌরসভা নির্বাচনে ২০টি কেন্দ্রের মধ্যে ১০টি ভোট সম্পন্ন হলেও কাউন্সিলর প্রার্থীদের কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ, বিশৃঙ্খলা, কেন্দ্র দখল, জাল ভোট প্রদানসহ বিভিন্ন বিশৃঙ্খলার কারণে স্ব স্ব কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার ভোটগ্রহণ স্থগিত করে দেন। ঘোষিত ১০টি কেন্দ্রের ফলাফল অনুযায়ী আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আক্তার হোসেন নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭ হাজার ৩৫৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মনেনীত প্রার্থী মোহাম্মদ জহির উদ্দিন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৭৬৩ ভোট। ভোটের ব্যবধান এক হাজার ৫৯৫। স্থগিত হওয়া ১০টি কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা হলো ২৪ হাজার ৩১০। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১২ হাজার ৮৩৭ এবং নারী ভোটার ১১ হাজার ৪৭৩ জন।এছাড়া, সংরক্ষিত ১নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে চন্দ্রনা রানী রায় ২ হাজার ২৫০ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রহিমা বেগম পেয়েছেন এক হাজার ১১৫ ভোট। সংরক্ষিত ২নং ওয়ার্ডে প্রতিভা রানী দাস পেয়েছেন ৪৬৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আয়েশা আক্তার পেয়েছেন ২১৩ ভোট। সংরক্ষিত ৩নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে হেলেনা বেগম পেয়েছেন ২ হাজার ৫৩২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তাহেরা বেগম পেয়েছেন এক হাজার ৩৮৫ ভোট। সাধারন ২নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে আবদুল মতিন ৮৩৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. ইসমাইল হোসেন পেয়েছেন ৩শ` ভোট। সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪নং ওয়ার্ডে মনসুর আহম্মেদ ৭১৯ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাহাঙ্গীর আলম পেয়েছেন ৩৩৫ ভোট। এছাড়া ৮নং ওয়ার্ডে আবুল কালাম আজাদ ৯৩৮ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটমতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাঈন উদ্দিন পেয়েছেন ৫৫৬ ভোট। এসকল সংরক্ষিত ও সাধারণ কাউন্সিলরগণেরও স্থগিত ১০ কেন্দ্রের পুনরায় ভোটগ্রহণ করা হবে। মিজানুর রহমান/এমজেড/পিআর

Advertisement