অবসরপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ সচিব কাজী হাবিবুল আউয়ালকে প্রধান করে গঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কমিশনাররা আজ শপথ নেবেন। আগামীকাল সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) থেকে তারা নির্বাচন কমিশন ভবনে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন শুরু করবেন।
Advertisement
রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এ পাঁচ নির্বাচন কমিশনারকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন।
অবিভক্ত আইন মন্ত্রণালয়, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্ব পালন করা কাজী হাবিবুল আউয়াল অবসরোত্তর এখন দেশের নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)। তার নেতৃত্বে নতুন কমিশনে আরও চার কমিশনারের মধ্যে রয়েছেন- অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান, অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমান।
শপথগ্রহণের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার ব্যারিস্টার মুহাম্মদ সাইফুর রহমান।
Advertisement
গতকাল শনিবার প্রথমবারের মতো আইন অনুযায়ী গঠিত হয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সংবিধানের ১১৮ (১) অনুচ্ছেদে দেওয়া ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি এ নিয়োগ দিয়েছেন বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’ অনুসারে নির্বাচন কমিশন গঠনে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করে গত ৫ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ পেশ করতে কমিটিকে ১৫ কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সার্চ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেয়।
নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল এবং ব্যক্তি পর্যায় থেকে নাম নেওয়া ছাড়াও বিশিষ্টজনের সঙ্গে বৈঠক করে। গত মঙ্গলবারের (২২ ফেব্রুয়ারি) সভায় ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করে কমিটি।
এ পর্যন্ত নিয়োগ পাওয়া ১৩ জন সিইসির মধ্যে সাতজনই বিচারপতি। বাকি ছয়জন সাবেক আমলা। এবারই প্রথমবারের মতো আইন প্রণয়নের পর সার্চ কমিটির মাধ্যমে বাছাই করে পাঁচ সদস্যের ইসি নিয়োগ দিলেন রাষ্ট্রপতি।
Advertisement
নতুন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর সর্বশেষ জ্যেষ্ঠ সচিব হিসেবে নির্বাচন কমিশনে দায়িত্ব পালন শেষে অবসরে গেছেন। তিনি বলেন, আমি চেষ্টা করবো আমার অভিজ্ঞতা কমিশনে তুলে ধরতে।
নতুন নির্বাচন কমিশন শপথ নিয়ে দায়িত্ব নেওয়ার পরবর্তী পাঁচ বছর দেশের জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের সব নির্বাচন পরিচালনা করে থাকে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কে এম নূরুল হুদা কমিশনের মেয়াদ শেষ হয়।
এফএইচ/এমকেআর/এমএস