মতামত

অমিক্রনই কি মহামারির বিদায় ঘণ্টা বাজাবে?

 

প্রায় দুই বছরের কম বা বেশি সময় ধরে করোনা মহামারির ছোবলে ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে প্রায় প্রতিটি দেশ ও অঞ্চল। ঝরেছে লাখ লাখ প্রাণ, লং কোভিডে ভুগছে লাখ কোটি মানুষ। বিভিন্ন আর্থসামাজিক, ব্যবসা-বাণিজ্যের অপূরণীয় ক্ষতিসহ বহু মানুষের সারা জীবনের জন্য জীবন চরিত্র পাল্টে দিয়েছে, জীবনের রং বদলে দিয়েছে, মানসিক স্বাস্থ্যের যারপরনাই ক্ষতি করেছে এই করোনাভাইরাস মহামারি।

Advertisement

অনাকাঙ্ক্ষিত পঙ্গু শিক্ষা অর্জনের বা শিক্ষা বঞ্চনার অনিবার্য সমাবেশ ঘটেছে। বেড়েছে বাল্যবিয়ে, পারিবারিক সহিংসতা, শিক্ষা থেকে ঝরে পড়া, সাইবার ক্রাইম, শিশু ও মাতৃ মৃত্যুসহ আরও অনেক কিছু। আমাদের দেশে এসবের সঠিক উত্তর জানার জন্য দরকার প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত, যা সংগ্রহ করতে দরকার আবার বিভিন্ন মাপের জরিপ। এক কথায় দরকার পর্যন্ত গবেষণা।

দেশে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের রিপোর্টকৃত শনাক্তের সংখ্যা এবং মৃত্যুর সংখ্যা আসল সংখ্যার চেয়ে অনেক কম অনেক গবেষণার ফলাফলে তেমনটি বলা হচ্ছে। তবে দেখা গেছে মোটা দাগে মোট মৃত্যুর ৮০ শতাংশের ওপর মৃত্যু হয়েছে বিভিন্ন ধরনের কোমরবিডিটি থাকার কারণে, যেমন- ডায়াবেটিস, ক্যানসার, রেসপাইরেটরি ডিজিজ, স্ট্রোক, হার্ট ডিজিজ ইত্যাদি। করোনাভাইরাস মহামারি না থাকলে এসব কারণে স্বাভাবিক মৃত্যুর যে সংখ্যা হত তাকে কি গত দুই বছরে করোনাভাইরাসের কারণে রিপোর্টকৃত মৃত্যুর সংখ্যা থেকে আলাদা করা গেছে।

যদি না যায়, তাহলে করোনাভাইরাসের কারণে প্রকৃত মৃত্যুর সংখ্যা আরও কম হবে। এমনটি আলোচনায় এসেছে নানান মহলেও, এমনকি বলা হচ্ছে যুক্তরাজ্যে এবং যুক্তরাষ্ট্রেও। ওইসব দেশে পাঁচ বছরের গড় মৃত্যু সংখ্যা হিসাব করে এর এক ধরনের যৌক্তিক এস্টিমেট বের করা হচ্ছে। পর্যাপ্ত তথ্য-উপাত্ত থাকলে আমাদের দেশেও এ ধরনের গবেষণা করলে করোনাভাইরাসের কারণে কিংবা করোনাভাইরাসহ মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা হয়তো বের করা সম্ভব হতো।

Advertisement

অমিক্রনের আদ্যোপান্ত দেখে সবারই মনে প্রশ্ন জেগেছে মহামারির উপরে উল্লেখিত সব ক্ষতের জায়গা কি শুকাতে শুরু করেছে, নিউ নর্মাল বাদ দিয়ে চিরাচরিত সেই ওল্ড নর্মালে ফিরতে পারবো কি না, সবকিছুই কি ঠিক দু’বছর আগে যেমনটি চলছিল তেমনটি চলবে? অমিক্রন অতিমাত্রায় সংক্রামক হওয়ায় প্রত্যেককেই হয়তো আক্রান্ত হচ্ছি বা হবে। যদি তাই হয় তবে অমিক্রনে আক্রান্ত ব্যক্তিরা ফের টিকা নিলে তা ইতিমধ্যে তৈরি হওয়া প্রাকৃতিক ইমিউনিটির সহায়ক হবে কি না?

যথেষ্ট সংখ্যক টিকা প্রদানের পাশাপাশি অধিক সংখ্যক লোক অমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে হার্ড কমিউনিটি ইমিউনিটি তৈরি হয়েছে কি না? আমরা এখন আর স্বাস্থ্যবিধি মানতে চাই না, মাস্ক পরতেও চাই না, এমনকি করোনাভাইরাস নিয়ে কোনো কথাও শুনতে চাই না, অতীতের দিকে তাকাতেও চাই না। আমাদের এই অমিক্রনকে উপেক্ষা করার সুযোগ নিয়ে ভেতরে ভেতরে অমিক্রন বা অন্যান্য সম্ভাব্য ভ্যারিয়েন্ট আবার একরকম চোখ রাঙাচ্ছে না তো?

এরকমের সব প্রশ্নের অধিকাংশের ইতিবাচক উত্তর গবেষকরা এবং বিজ্ঞানীরা পেতে শুরু করেছেন একটি প্রশ্নবোধক চিহ্ন সামনে রেখে যে ভবিষ্যতে যদি কোনো ভয়াবহ ভ্যারিয়েন্ট এর আগমন না ঘটে। অমিক্রন করোনাভাইরাস এত বেশি মিউটেশন নিয়ে তৈরি হয়েছে যে এর চেয়ে ভয়াবহ ভ্যারিয়েন্টের সম্ভাবনা একেবারেই কম।

ফলে ছোট্ট একটি প্রশ্নবোধক চিহ্ন সামনে রেখে বিজ্ঞানীরা চলমান প্যানডেমিক এন্ডেমিকে পরিবর্তিত হচ্ছে বলে মনে করছেন। অর্থাৎ ব্যক্তিবিশেষে ম্যালেরিয়া অথবা যক্ষ্মায় আক্রান্ত হওয়া অথবা সর্দি কাশির মতো ঋতুভিত্তিক রোগের মতো করে পরিবর্তিত হচ্ছে। মহামারির মহাসড়ক থেকে এক্সিট এর দিকে যাচ্ছি। এটি হলেও মৃত্যু একেবারে থেমে যাবে না, অন্য এন্ডেমিক এর মতো এই এন্ডেমিকেও একই রকম মৃত্যু ঘটতে পারে।

Advertisement

তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, অমিক্রন ইতিমধ্যেই তিন মাসেরও কম সময়ের মধ্যে সবচেয়ে ডমিন্যান্ট (৯৯%) ভ্যারিয়েন্ট রূপে আবির্ভূত হয়েছে, ডেল্টার ক্ষেত্রে যেটা লেগেছিল ৯ মাসেরও বেশি (নভেম্বর ২০২০ থেকে জুলাই ২০২১)। গবেষণায় দেখা গেছে, অমিক্রনে আক্রান্ত হলে কেউ আর ডেল্টায় আক্রান্ত হবে না, এর কারণ হলো অমিক্রন ডেল্টার বিরুদ্ধেও ক্রস ইমিউনিটি দিতে পারে। ফলে বিশ্বব্যাপী অমিক্রন অতি দ্রুত ডমিনেন্ট ভ্যারিয়েন্ট হিসেবে দেখা দিয়েছে।

অমিক্রনকে বিস্তারের সুযোগ না দেওয়ায় (হংকং, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, জাপান, জার্মানি) এখনো কিছু কিছু ক্ষেত্রে ডেল্টার উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে, যা দ্রুত বিলীন হয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অমিক্রন মানুষ থেকে পশুদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। সম্প্রতি আমেরিকার স্টার্টন দ্বীপের এক জরিপে জানা যায়, ১৪.৫ শতাংশ হরিণের মধ্যে অমিক্রন শনাক্ত হয়েছে পিসিআর টেস্টের মাধ্যমে।

অমিক্রনের দুটি প্রকরণ যারা আবার সহোদরও বটে একই সময়ে উদ্ভব হওয়ার কারণে। এরা কিন্তু ডেল্টা থেকে মিউটেশন হয়ে জন্ম নেয়নি, এদের লিনিয়েজের দিকে তাকালে দেখা যায় এরা উহান করোনাভাইরাস স্ট্রেইন থেকে এসেছে। এগুলো হলো বিএ.১, যাকে আমরা অমিক্রন হিসেবে চিনি এবং বিএ.২ যা বিএ.১ এর চেয়ে ৩০-৫০ শতাংশ বেশি সংক্রামক। ডেনমার্ক ভারতসহ অনেক দেশে এটি দ্রুত ছড়াচ্ছে এবং মৃত্যুর হারকেও বাড়াচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। ফলে তা কিছুটা হলেও বিজ্ঞানীদের মধ্যে বাড়তি শঙ্কার জায়গা তৈরি করছে। তবে গবেষণায় উঠে এসেছে কারও বিএ.১ তে আক্রান্ত হলে পুনরায় বিএ.২ তে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি একেবারেই নেই। এছাড়া ডেনমার্ক বিএ.২-তে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হলেও সেখানকার সাম্প্রতিক তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে নেতিবাচক কোন কিছু মিলছে না।

অমিক্রনের এই ব্যাপক বিস্তৃতি এবং এর হালকা অসুস্থতা বা কম গুরুতর অসুস্থ হওয়া ও মৃত্যুহার ডেল্টার তুলনায় ৭/৮ ভাগের এক ভাগ হওয়ায়, গুরুতর অসুস্থ হলেও কার্যকরী চিকিৎসা সেবার সুযোগ তৈরি হয়েছে মুখে সেবন করা যায় এমন ফাইজার, মার্কসহ অন্যান্য কোম্পানির বিভিন্ন ওষুধ আসার মধ্য দিয়ে।

এছাড়া বিশ্বব্যাপী যৌক্তিক পর্যায়ে টিকা প্রদান করে ব্যাপক ইমিউনিটি এবং ব্যাপক জনগণ অমিক্রন এ আক্রান্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে ব্যাপক প্রাকৃতিক ইমিউনিটি জন্মেছে। এসব কারণে অমিক্রন করোনা মহামারি অচিরেই সাধারণ রোগে পরিণত হবে বলে বিজ্ঞানীরা ধারণা পোষণ করছেন। বহু মানুষ ইতিমধ্যে সেটাও ভাবতে শুরু করেছেন। তবে ডেল্টাকে অন্সেস্টর করে ভয়ঙ্কর কোনো ভ্যারিয়েন্ট এখনো আবিষ্কার হয়নি বলে বিজ্ঞানীরা কিছুটা দ্বিধা দ্বন্দ্ব রয়েছে যে শেষ পর্যন্ত ডেল্টা থেকে মিউটেশনের মাধ্যমে ভয়ঙ্কর কোনো ভ্যারিয়েন্ট আসতে পারে।

পৃথিবীর অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও ১২ বছরের নিচের শিশুদের কোনো টিকা দেয়া হচ্ছে না। বিভিন্ন গবেষণায় এবং জরিপে জানা যাচ্ছে কোন ধরনের ভ্যাকসিন দেওয়া না হলেও ১২ বছরের শিশুদের মধ্যে ব্যাপক এন্টিবডির উপস্থিতি মিলছে, বিশেষ করে অমিক্রন আসার পরে এই এন্টিবডির মাত্রা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

যুক্তরাজ্যের সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা যায়, আট থেকে এগারো বছরের শিশুদের মধ্যে ৮৫% শিশুর মধ্যে এন্টিবডির উপস্থিতি পাওয়া গেছে। অনেক দেশের মতো যুক্তরাজ্যেও হার্ড কমিউনিটি ইমিউনিটি তৈরি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যুক্তরাজ্যে এক গবেষণায় দেখা গেছে, এডাল্টদের ৯৮% এর মধ্যে এন্টিবডি পজিটিভ পাওয়া যাচ্ছে। পরিবারের অন্য সদস্যরা আক্রান্ত হওয়ায় আমাদের দেশেও ৮ থেকে ১১ বছরের বয়সের অধিকাংশ শিশুও যুক্তরাজ্যের মতো একইভাবে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারে, এর অনেক বেশি সম্ভাবনা রয়েছে।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, যদি কেউ একবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয় তাহলে পুনরায় ওই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার বিরুদ্ধে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ সুরক্ষা দিতে পারে।

আবার অমিক্রনে আক্রান্ত হলে অতি শক্তিশালী ইমিউনিটি তৈরি হচ্ছে এবং যা পুনরায় অমিক্রন বা ডেল্টা ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত হওয়ার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন এমনকি বছরেরও বেশি সুরক্ষা দিতে পারে। তাই ভ্যাকসিন এবং অমিক্রনের মাধ্যমে অধিকাংশ জনগণের মধ্যে অতি উচ্চমাত্রার ইমিউনিটি তৈরি হওয়ার ফলে করোনাভাইরাসের প্যানডেমিক এন্ডেমিকে রূপান্তরিত হচ্ছে।

করোনাভাইরাসের যেকোনো ভ্যারিয়েন্টে কিংবা অমিক্রন এ আক্রান্তদের মধ্যে শক্তিশালী ইমিউনিটি থাকায় পুনরায় তাদের ভ্যাকসিন দেওয়ার যৌক্তিকতা নিয়ে কঠোর প্রশ্ন উঠছে। এ ব্যাপারে অনেক গবেষণার ফলাফল থেকে জানা যাচ্ছে আগের ভ্যারিয়েন্ট কিংবা অমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার পরেও যারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাদের মধ্যে পুনরায় আক্রান্ত হওয়ার এবং হসপিটালে ভর্তির ঝুঁকি অতিরিক্ত কোন কমেনি তাদের ঝুঁকির তুলনায় যারা আক্রান্ত হয়েছেন কিন্তু ভ্যাকসিন নেননি।

ভ্যাকসিনের বাড়তি সুবিধা না পাওয়ায় কেউ অমিক্রনে আক্রান্ত হলে পরে আর কোন ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা নেই বলে ওইসব গবেষণায় উঠে এসেছে। সুইজারল্যান্ডের একটি গবেষণা এবং যুক্তরাষ্ট্রের সিডিসির ক্যালিফোনিয়া এবং নিউইয়র্কভিত্তিক গবেষণাও একই কথা বলছে।

ফলে অদূর ভবিষ্যতে ভ্যাকসিনেশনের ক্ষেত্রে ব্যাপক কৌশলগত পরিবর্তন আসবে বলে একরকম নিশ্চিত ভাবে ধারণা করা যায়। এছাড়াও এর পেছনে আরও একটি যুক্তি রয়েছে। ইতিমধ্যে অনেক গবেষণায় উঠে এসেছে ভ্যাকসিন নেওয়ার পর ভ্যাকসিনের ফলে অর্জিত ইমিউনিটি দীর্ঘস্থায়ী হয় না।

২৩ ডিসেম্বর ২০২১ সাইন্স জার্নালে প্রকাশিত এক নিবন্ধন থেকে জানা যায়, দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার পর মডার্না এবং ফাইজার উভয়ের কার্যকরিতা ৯০ শতাংশ, অ্যাস্ট্রোজেনেকার ক্ষেত্রে তা ৬৫% এ দাঁড়ায়। এর ছয় মাস পরে কার্যকারিতা নেমে আসে যথাক্রমে ৭০, ৬০ এবং ৪৪ শতাংশে। ছয় মাস পরে বুস্টার ডোজ দিলে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা দুই সপ্তাহ পরে ফাইজারের ক্ষেত্রে ৯৫% এবং অ্যাস্ট্রোজেনকার ক্ষেত্রে ৯৩% এ উপনীত হলেও ৪ মাস পরে তা ৬০ শতাংশের কাছাকাছি নেমে যায়।

দ্রুত ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা কমে যাওয়ার কারণে কয়টি বুস্টার ডোজ নিতে হবে বা অমিক্রন পরবর্তী একইভাবে বুস্টার চালিয়ে যেতে হবে না আদৌ কোন বুস্টার ডোজ নিতে হবে কি না অথবা সব স্ট্রোরিয়েন্ট এর বিরুদ্ধে কার্যকরী কোন ইউনিভার্সেল ভ্যাকসিন আবিষ্কার এবং প্রয়োগ করতে হবে কিনা সে ব্যাপারে বিজ্ঞানীরা এখনও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। অমিক্রন এ আক্রান্ত হওয়ার পূর্বে ভ্যাকসিন গ্রহণ করলে তা আমাদেরকে বড় মৃত্যুঝুঁকি এবং হসপিটালে ভর্তি ঝুঁকির হাত থেকে রক্ষা করছে নিঃসন্দেহে কিন্তু অমিক্রণ এ আক্রান্ত হওয়ার পরে ভ্যাকসিনেশন সেরকম কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারছে না বলে গবেষণায় উঠে আসছে।

বিজ্ঞানীদের মধ্যে এই মতবাদও রয়েছে যে পুরো মহামারিকালীন ক্রমশ নানা ভেরিয়েন্ট এ আক্রান্ত হয়ে আমাদের মধ্যে ক্রমশ শক্তিশালী প্রাকৃতিক ইমিউনিটি ব্যবস্থা তৈরি হচ্ছে কিনা যা ভবিষ্যতের যেকোনো ভেরিয়েন্ট এর বিরুদ্ধে প্রাকৃতিক ভাবে শক্তিশালী সুরক্ষা দেবে কোন ভ্যাকসিন ছাড়াই, যেমনটি শিশুদের ক্ষেত্রে বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে বারে বারে নানান ভাইরাস এ আক্রান্ত হয়ে শরীরে প্রাকৃতিক ভাবে এক ধরনের শক্তিশালী ইমিউনিটি ব্যবস্থা গড়ে ওঠে এবং একটি পর্যায়ে ভাইরাস সহনীয় হয়ে পড়ে। অমিক্রন আসার পরে এই মতবাদটি আরো বেশি জোরালো হচ্ছে।

প্রতিনিয়ত মাস্ক এবং স্বাস্থ্যবিধি মানতেই হবে যেন হঠাৎ নতুন কোন ভয়ঙ্কর ভেরিয়েন্ট এলে তা সহজেই মোকাবেলা করা যায়। ভবিষ্যতে নতুন করে ভয়ঙ্কর কোন ভেরিয়েন্ট না আসলে তাই এখন দেখার বিষয় আগামী ছয় মাসের মধ্যেই প্রত্যাশিত প্যানডেমিক এন্ডেমিক এ বনে যাওয়া, ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রামে আমূল পরিবর্তন হওয়া, পুরোপুরি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়া বাস্তবে কতটা রূপ নিচ্ছে। লেখক: অধ্যাপক, ফলিত পরিসংখ্যান, আই এস আর টি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সভাপতি, আই এস আর টি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন নির্বাহী কমিটি।

এইচআর/এমএস