দু’দিন ধরে ইউক্রেনে তুমুল আক্রমণ চালাচ্ছে রাশিয়া। এরই মধ্যে রুশ সেনারা কিয়েভে ঢুকে পড়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। আক্রমণের মুখে বয়স নির্বিশেষে ছোট-বড় সবাইকে যুদ্ধে নামার আহ্বান জানিয়েছে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী। অর্থাৎ, তাদের কথায় স্পষ্ট যে, রাশিয়ার আক্রমণে ধীরে ধীরে কোণঠাসা হয়ে পড়ছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। ফলে ধরে নেওয়া যায়, যেকোনো সময় কিয়েভের পূর্ণাঙ্গ দখল নিতে চলেছে পুতিন বাহিনী। কিন্তু এরপর কী হবে? ইউক্রেনীয় রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কী করতে চান রুশ প্রেসিডেন্ট?
Advertisement
কিয়েভ নিয়ে রাশিয়ার পরিকল্পনার কথা ইউক্রেনের প্রাভদা ওয়েবসাইটকে জানিয়েছে একটি গোয়েন্দা সূত্র। যদিও এটি আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য নয়, তবে রাশিয়ার উদ্দেশ্যে সম্পর্কে কিছুটা ধারণা হয়তো পাওয়া যায়।
সূত্র জানিয়েছে, রাশিয়ার লক্ষ্য, কিয়েভের প্রধান বিমানবন্দর দখল করে প্লেন চলাচলের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া। এরপর সেই বিমানবন্দর ব্যবহার করে ১০ হাজার সৈন্য নামানো। আর তার মধ্যে সীমান্তে হামলা অব্যাহত রেখে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে ব্যস্ত রাখা।
কিয়েভের বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থায় নাশকতা করে আতঙ্ক সৃষ্টি করা। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিতে ঠেলে দিয়ে ইউক্রেনীয় সেনাদের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি।
Advertisement
ইউক্রেনের ক্যাবিনেট, পার্লামেন্ট ভবনসহ সরকারি ভবনগুলো দখল করা। এর সঙ্গে শীর্ষ নেতাদের আটক করে রাশিয়ার শর্ত মানতে বাধ্য করা।
রুশপন্থি নেতাদের ক্ষমতায় বসিয়ে সাবেক পূর্ব ও পশ্চিম জার্মানির মতো ইউক্রেনকে দুই ভাগে বিভক্ত করা।
তবে ইউক্রেনীয় সংবাদমাধ্যমের এসব তথ্যের বিশ্বাসযোগ্যতা নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
Advertisement
কেএএ/এমএস