রুশ সৈন্যরা চেরনোবিল পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনীয় এক্সক্লুসন জোন ম্যানেজমেন্টের মুখপাত্র ইয়েভজেনিয়া কুজনেতসোভা। সংবাদমাধ্যম সিএনএন’র কাছে তিনি এ দাবি করেন।
Advertisement
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে যখন আমি কিয়েভে অফিসে আসি, তখন দেখতে পাই চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কেউ নেই, সবাই চলে গেছে। অর্থাৎ সেখানে নির্দেশনা দেওয়া বা এটি রক্ষা করার কেউ নেই।
এর আগে সকালে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এক টুইট বার্তায় বলেন, রুশ বাহিনী চেরনোবিল বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করছে। আমাদের রক্ষকরা নিজেদের জীবন উৎসর্গ করছেন যেন ১৯৮৬ সালের ট্র্যাজেডি ফিরে না আসে। এটি সমগ্র ইউরোপের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা।
ইউক্রেনীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীও প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলেন, শহরে আরেকটি পারমানবিক বিপর্যয়ের শঙ্কা জেগেছে। ১৯৮৬ সালে চেরনোবিলে সবচেয়ে বড় প্রযুক্তিগত বিপর্যয় দেখেছে বিশ্ব। রাশিয়া যদি যুদ্ধ চালিয়ে যায় তাহলে ২০২২ সালে আবারও চেরনোবিল বিপর্যয় ফিরে আসতে পারে।
Advertisement
১৯৮৬ সালের ২৬ এপ্রিল ইউক্রেনের প্রিপিয়াতের নিকটে চেরনোবিলের চার নম্বর চুল্লিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে ৩০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে। এর জেরে পরের বছরগুলোতে বিকিরণের উপসর্গ নিয়ে অসংখ্য মানুষের মৃত্যু হয় বলে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলে সামরিক অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একই সঙ্গে তিনি জানান, ইউক্রেন এবং রুশ বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ অনিবার্য।
এরপর ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে দফায় দফায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। প্রথম বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় ভোর ৫টার কিছু সময় পর। এরপর মোট চার থেকে পাঁচবার বিস্ফোরণে ঘটে বলে বিবিসি, সিএনএন-সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়।
আক্রমণের প্রথম কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রাশিয়ার ৫০ ও ইউক্রেনের ৪০ সেনা নিহত হয়েছেন বলে দাবি করে কিয়েভ প্রশাসন। এছাড়া দুই পক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন আরও অন্তত ১০ জন বেসামরিক নাগরিক। ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির এক সহযোগী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
Advertisement
ইএ