ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের উপকণ্ঠে ঢুকে পড়েছে রুশ প্যারাট্রুপাররা। অ্যান্টোনোভ বিমানবন্দর নিজেদের দখলে নিয়েছে রাশিয়ার প্যারাট্রুপাররা। রাজধানী কিয়েভের সন্নিকটে এই বিমানবন্দরটি ইউক্রেনের শক্ত বিমানঘাঁটি হিসেবেও পরিচিত।
Advertisement
তবে নিজেদের দখলে নিলেও সেখানে ইউক্রেনীয় সেনাদের তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়ে রুশ প্যারাট্রুপাররা। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, তারা এই ঘাঁটি পুনরায় নিজেদের দখলে নেবে।
এদিকে এই বিমানঘাঁটি নিজেদের দখলে নেওয়াতে মনে হচ্ছে, প্রথমদিনের সামরিক অভিযানেই উইক্রেনের রাজধানীতে প্রবেশ করতে পেরেছে রুশ বাহিনী।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ভোরে ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলে সামরিক অভিযানের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একই সঙ্গে তিনি জানান, ইউক্রেন এবং রুশ বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ অনিবার্য।
Advertisement
এরপর ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে দফায় দফায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। প্রথম বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় ভোর ৫টার কিছু সময় পর। এরপর মোট চার থেকে পাঁচবার বিস্ফোরণে ঘটে বলে বিবিসি, সিএনএন-সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়।
আক্রমণের প্রথম কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রাশিয়ার ৫০ ও ইউক্রেনের ৪০ সেনা নিহত হয়েছেন বলে দাবি করে কিয়েভ প্রশাসন। এছাড়া দুই পক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন আরও অন্তত ১০ জন বেসামরিক নাগরিক। ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির এক সহযোগী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
ওলেক্সি আরেস্টোভিচ নামে কিয়েভ প্রশাসনের ওই কর্মকর্তা বলেন, আমি ৪০ জনের বেশি ইউক্রেনীয় সেনা নিহত ও কয়েক ডজন আহত হওয়ার কথা জানি। এছাড়া ১০ বেসামরিক নাগরিক মারা যাওয়ার কথাও শুনেছি।
এদিকে, অর্ধশত রুশ সেনা নিহত হওয়ার পাশাপাশি আক্রমণকারীদের চারটি ট্যাংক ও ছয়টি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন।
Advertisement
দুপুরে ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনী এক বিবৃতি জানিয়েছে, দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় শহর খারকিভে চারটি ট্যাংক ধ্বংস করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। এছাড়া, বিচ্ছিন্নতাবাদী লুহানস্ক অঞ্চলের একটি শহরে ৫০ রুশ সেনাকে হত্যা এবং ছয়টি সামরিক আকাশযান ধ্বংস করা হয়েছে। অবশ্য রাশিয়া এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।
ইউক্রেন বলছে, তিন দিকের সীমান্ত দিয়ে তাদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে। রাশিয়া, বেলারুশ ও ক্রিমিয়া সীমান্ত দিয়ে ইউক্রেনে প্রবেশে করেছে রুশ সেনারা। কামান, ভারী সরঞ্জাম এবং ছোট অস্ত্র ব্যবহার করে সীমান্ত ইউনিট, সীমান্ত টহল এবং চেকপয়েন্টগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।
ইএ