গত বছর ঝিনাইদহে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ৭০ জনের। নিহতদের মধ্যে ১৩ জনই বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। সূত্রটি আরও জানায়, ট্রেনে কাটা পড়া, বাস ও ট্রাকচাপায় এবং নছিমন-করিমন দুর্ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়। তবে গত বছরগুলোর তুলনায় সড়কে মৃত্যুর মিছিল কিছুটা হলেও কমেছে। ২০১৪ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় ৮১ জন নিহত হয়েছিলেন। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত সড়ক দুর্ঘটনা ছিল কালীগঞ্জের বারোবাজারের ট্রেন দুর্ঘটনাটি। সেখান বরযাত্রীবাহী একটি বাসকে একটি ট্রেন ধাক্কা দিয়ে কয়েকশ` গজ নিয়ে যায়। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় একই পরিবারের নারী ও শিশুসহ নিহত হন ১৩ জন বরযাত্রী। ২০১৪ সালে কালীগঞ্জ উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন ৩৬ জন, সদর উপজেলায় ১৪ জন, কোটচাঁদপুরে ছয়জন, মহেশপুরে ১০ জন, শৈলকুপায় ১২ জন ও হরিণাকুন্ডু উপজেলায় তিনজন।২০১৩ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় ১০৫ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে কালীগঞ্জ উপজেলায় ২৬ জন, শৈলকুপায় ২৩ জন, ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় ২৭ জন, মহেশপুর উপজেলায় ১৭ জন, কোটচাঁদপুর উপজেলায় সাতজন ও হরিণাকুন্ডু উপজেলায় পাঁচজন নিহত হন। প্রতি মাসে গড়ে আটজনের উপর মৃত্যু হয়েছে সড়ক দুর্ঘটনায়।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৩০ জানুয়ারি শৈলকুপার দুধসর নামক স্থানে ট্রাকচাপায় চারজন নিহত হন। গত ১২ এপ্রিল মহেশপুরের গুড়দাহ বাজারে বাসচাপায় নিহত হন মুক্তার আলী, মহসিন ও তাসলিমা খাতুন নামে তিনজন। ১৩ মে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা সাধুহাটীতে মরিয়ম বেগমসহ দু`জন নিহত হন। গত ৪ জুলাই কালীগঞ্জ উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আমিনুল নিহত হন। গত ১৬ অক্টোবর শৈলকুপায় কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় দুই চালক নিহত হন। ৩০ নভেম্বর কালীগঞ্জে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে রাকিবসহ দু`জন নিহত হন। এছাড়া ১৪ ডিসেম্বর কালীগঞ্জের রহমতপুরে বাসচাপায় জামিরুল নামে এক হাইওয়ে পুলিশ সদস্য নিহত হন। ঝিনাইদহ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. সালাউদ্দিন আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, অপ্রশিক্ষিত চালকদের হাতে ত্রুটিপূর্ণ যানবাহনের বেপরোয়া চালনাকেই সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে বিভিন্ন গবেষণায়। আর মহাসড়কের পাশে বাজারসহ ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা, এসব জায়গায় ব্যবস্থাপনার অভাব সড়ক দুর্ঘটনার কারণ বলে তিনি জানান।এমজেড/এমএস
Advertisement