বিশেষ প্রতিবেদন

শাহবাগে চোখ জুড়ানো বিউটিফুল বাংলাদেশ

একবার ভাবুন তো যদি দুই মিনিটে পুরো বাংলাদেশটা দেখা যেত তাহলে কেমন হতো। অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্যিই মাত্র দুই মিনিটে বাংলাদেশের সব দর্শনীয় স্থান দেখার সুযোগ করে দিয়েছে রাজধানীর শাহবাগের ‘বিউটিফুল বাংলাদেশ’ নামে একটি নয়নাভিরাম স্ক্রীন। এ স্ক্রীনটির মাধ্যমে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রাকৃতিক ও ঐতিহাসিক স্থান এমনভাবে তুলে ধরা হয়েছে, যা দেখলে যে কারো মন জুড়িয়ে যায়।শনিবার, রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টা। শাহবাগ চৌরাস্তার মোড়ে ব্যস্ততম বাস, প্রাইভেট কার, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন ইঞ্জিনচালিত যানবাহন দ্রুতগতিতে গন্তব্যের পানে ছুটছে। কর্তব্যরত একাধিক পুলিশ সার্জেন্ট ও কনস্টেবল যানবাহন নিয়ন্ত্রণে খুবই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। এ সময়ে বেশ কিছুসংখ্যক মানুষকে জটলা পাকিয়ে শাহবাগ ফুলের মার্কেটের বিপরীত দিকের সিগন্যালের অদূরে একটি স্ক্রীনের দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখা গেল। কৌতুহলবশত একটু এগিয়ে যেতে অন্যান্যদের মতো এ প্রতিবেদকেরও চোখ আটকে গেল স্ক্রীনে। স্ক্রীনে একের পর এক বাংলাদেশের বিভিন্ন ঐহিত্যবাহী ও দর্শনীয় স্থান দেখা গেল। রাতের আঁধারে লাল, নীল, সবুজ, হলুদসহ বিভিন্ন রংয়ে রাঙ্গানো চিত্রগুলো দেখে নয়ন জুড়িয়ে গেল।প্রাকৃতিক ও ঐতিহাসিক স্থান হিসেবে বিভিন্ন স্লাইডে লালবাগের কিল্লা, কুমিল্লার ময়নামতি বৌদ্ধ মন্দির, খুলনা বাগেরহাটের ষাট গম্বুজ মসজিদ, আহসান মঞ্জিল, মহাস্থানগড়, সিলেটের চা বাগান, ঝর্ণা, বান্দরবনের নীলগিড়ি, স্বর্ণমন্দির, রাঙ্গামাটির ঝুলন্ত ব্রিজ, টেকনাফের সেন্টমার্টিন সমুদ্র সৈকত, সুন্দরবন, বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের নানা নয়নাভিরাম স্থিরচিত্র দেখা গেল। আনিসুর রহমান। গুলশানের একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে হিসাবরক্ষকের চাকরি করেন। শাহবাগ বারডেম হাসপাতালের সামনে বাস থেকে নেমে রাস্তা পার হয়ে শাহবাগ থানার দিকে আসার সময় থমকে দাঁড়ান। বেশ মনোযোগ দিয়ে স্লাইডগুলো দেখছিলেন। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, সারাদিন টাকা পয়সার হিসাব কইরা মাথা ঘুরাতে থাকে। তিনি একগাল হেসে বলেন, ভালই হল, এখন অফিস শেষে চানখারপুলের বাসায় ফেরার পথে শাহবাগে নেমে দুই মিনিটে বাংলাদেশ ভিজিট করতে পারবো। কাঁধে ঝেলা নিয়ে পান সিগারেট বিক্রেতা এক হকার বললেন, আগে শাহবাগে যানজটে পড়ে মানুষ বিরক্ত হতো কিন্তু এখন বিরক্তি লাগবে না। বিনা পয়সায় বাংলাদেশের সৌন্দর্য দেখতে পাবে। বিউটিফুল বাংলাদেশ শিরোনামে এটি কোন প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেছে জানতে চাইলে কর্তব্যরত কর্মকর্তা সঠিকভাবে বলতে পারলেন না। একবার বললেন ঢাকা সিটি কর্পোরেশন আবার বললেন পর্যটন মন্ত্রণালয়। বেশ কয়েকমাস যাবত এটির কাজ চলছিল। গত কয়েকদিন যাবত পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা। এমইউ/এআরএস/এমএস

Advertisement