আন্তর্জাতিক

নাগরিকদের রাশিয়া ছাড়ার নির্দেশ ইউক্রেনের

নাগরিকদের রাশিয়া ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে ইউক্রেন। রাশিয়ায় বর্তমানে প্রায় ৩০ লাখ ইউক্রেনের নাগরিক বসবাস করছে। এমনকি অনেকেরই পরিবারের সদস্যরা এই দুই দেশেই অবস্থান করছেন। খবর বিবিসির।

Advertisement

এর পাশাপাশি জরুরি অবস্থা জারি করতে যাচ্ছে ইউক্রেন। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ জরুরি অবস্থা জারির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের এক বৈঠকের পর দেশটির শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা ওলেকসি ড্যানিলোভ জানান, দোনেৎস্ক এবং লাহানস্ক ছাড়া অন্য সব অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি করা হবে।

কারণ ওই দুই অঞ্চলে ইতোমধ্যেই রুশপন্থি বিদ্রোহীদের সঙ্গে ইউক্রেনের সেনাদের লড়াই চলছে। তিনি জানিয়েছেন, হয়তো ৩০ দিনের মতো জরুরি অবস্থা জারি থাকতে পারে। তবে জরুরি অবস্থা জারির জন্য অবশ্যই ইউক্রেনের পার্লামেন্টের অনুমোদন প্রয়োজন হবে।

অপরদিকে রাশিয়া বলছে, তারা খুব শিগগির ইউক্রেনে নিযুক্ত তাদের দূতাবাস কর্মীদের সরিয়ে নেবে। মঙ্গলবার দেশটির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে দেশটির পার্লামেন্টে বিদেশে নিজ দেশের সেনা মোতায়েনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে অনুমোদন দেন আইনপ্রণেতারা। তারপরেই এমন ঘোষণা সামনে এলো। মস্কো বলছে, ইউক্রেনে অবস্থানরত তাদের দূতাবাস কর্মীদের সুরক্ষা দিতেই এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে তারা।

Advertisement

মস্কোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের (ইউক্রেনে অবস্থিত দূতাবাস কর্মী) জীবন এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইউক্রেনে অবস্থিত রাশিয়ার বিদেশি দূতাবাস থেকে কর্মীদের সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাশিয়া শীর্ষ নেতারা। খুব শিগগির তা বাস্তবায়ন হবে।

মন্ত্রণালয় বলছে, তাদের দূতাবাস কর্মীদের প্রতিনিয়ত হুমকি দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে দূতাবাস এবং কনস্যুলেটে বার বার হামলার ঘটনা ঘটছে। সে কারণেই তারা এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে। এছাড়া ইউক্রেনে বর্তমানে ভয়াবহ বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে উল্লেখ করে তারা বলছে, এমন পরিস্থিতিতে নিজ দেশের কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই তাদের সরিয়ে নেওয়া হবে।

রাশিয়ার সঙ্গে উত্তেজনা শুরুর পর বেশ কিছু পশ্চিমা দেশ তাদের দূতাবাস কিয়েভ থেকে পোল্যান্ড সীমান্তের কাছে অবস্থিত লিয়েভ সীমান্তে সরিয়ে নিয়েছে। এদিকে সম্প্রতি পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্ক এবং লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এমনকি ওই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সেনা মোতায়েনের ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি।

পশ্চিমা দেশগুলো কয়েক সপ্তাহ ধরে সতর্কবার্তা দিয়ে আসছে, রাশিয়া যেকোনো দিন ইউক্রেন আকমণ করতে পারে। তেমনটি হলে মস্কোর ওপর ‘অভূতপূর্ব নিষেধাজ্ঞা’ দেওয়ারও হুমকি দিয়েছিল তারা। মস্কোর এমন পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান, অস্ট্রেলিয়াসহ আরও অনেক দেশ। রাশিয়ার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে এরই মধ্যে নিষেধাজ্ঞার ঢেউ শুরু হয়ে গেছে পশ্চিমে।

Advertisement

টিটিএন/জেআইএম