একজন বর্তমান প্রধান কোচ, অন্যজন সাবেক প্রধান কোচ। রাসেল ডোমিঙ্গো এবং জেমি সিডন্স। জেমি এখন বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং কোচ। আফগানিস্তান সিরিজ দিয়েই বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সঙ্গে শুরু হচ্ছে তার দ্বিতীয় ইনিংস।
Advertisement
একই সঙ্গে সাবেক এবং বর্তমান প্রধান কোচ, একটা ইগোর দ্বন্দ্ব কী তৈরি হয়ে যেতে পারে না বাংলাদেশ দলের কোচিং স্টাফের মধ্যে? সম্ভাবনা তো উড়িয়ে দেয়া যায় না। দু’জন আবার ভিন দেশি। একজন দক্ষিন আফ্রিকান, অন্যজন অস্ট্রেলিয়ান। কারো কারো মধ্যে জাত্যাভিমানও তো তৈরি হতে পারে!
যদিও করোনা আক্রান্ত হওয়ার কারণে ২০ ফেব্রুয়ারি দলের সঙ্গে চট্টগ্রাম যেতে পারেননি জেমি সিডন্স। ১২ ফেব্রুয়ারি কোভিড-১৯ পজিটিভ রিপোর্ট আসে তার। এরপর ১৯ ফেব্রুয়ারি শনিবার তার কোভিড-১৯ পরীক্ষা করার পর দেখা যায়, তখনও তিনি পজিটিভ। তবে, উপসর্গ না থাকায় এবং ১০দিন পার হয়ে যাওয়ার কারণে কোয়ারেন্টাইনমুক্ত হয়ে যান সিডন্স এবং আজ সকালে গিয়ে দলের সঙ্গে যোগ দেন তিনি। পরে দলের অনুশীলনেও দেখা গেছে সিডন্সকে।
বিষয়টা আজ চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অধিনায়ক তামিম ইকবালের আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে তোলা হয়েছিল। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ শুরুর আগে মিডিয়ার মুখোমুখি হন বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক। সেখানে তার কাছে রাসেল ডোমিঙ্গো এবং জেমি সিডন্সের এই সম্পর্কের বিষয়টা নিয়ে প্রশ্ন রাখা হয়।
Advertisement
জবাবে তামিম ইকবাল জানিয়ে দিলেন, দু’জনই কোচ হিসেবে বাংলাদেশ দলের অংশ। সবাই মিলে একটি দল তারা। সবাই মিলে-মিশেই এগোবেন বলে দৃঢ় বিশ্বাস তামিম ইকবালের।
তিনি বলেন, ‘রাসেল ও জেমি..., আমরা একটা দল। রাসেল হেড কোচ হয়ে সেই দলের অংশ। জেমি ব্যাটিং কোচ হয়ে এই দলের অংশ। আমার মনে হয় না এটা আমরা আলাদাভাবে চিন্তা করছি বা দেখার দরকার আছে। যারা এই সেটআপে আছে, তারা মিলেই বাংলাদেশ দল। ম্যানেজমেন্ট বলুন, খেলোয়াড় বলুন, আমরা সবাই এক। এভাবেই আমরা এগোতে চেষ্টা করব।’
দূরত্ব নয়, ভালো-খারাপ যাই হোক একসাথে থাকার দৃঢ় প্রত্যয় অধিনায়ক তামিমের। তিনি বলেন, ‘দূরত্ব থাকলে ভালো কিছু হবে না। খেলোয়াড়- স্টাফ আমরা সবাই জানি আমরা একটি দল। ভালো খেলি খারাপ খেলি, একসাথেই থাকব আমরা।’
জেমি সিডন্স ছিলেন বাংলাদেশ দলের সাবেক প্রধান কোচ। ২০১১ বিশ্বকাপের পর তিনি চলে যান। ঠিক ১১ বছর পর আবার এসেছেন বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং কোচ হয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকার অ্যাশওয়েল প্রিন্স হঠাৎ ব্যাটিং কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ালে জেমি সিডন্সকে আফগানিস্তান সিরিজ থেকেই এই পদে দায়িত্ব দিয়ে দেয়া হয় বিসিবির পক্ষ থেকে।
Advertisement
পুরনো অভিজ্ঞতার তারণে জেমি বাংলাদেশ দলে অনেক বড় প্রভাব রাখতে পারে বলে মনে করেন তামিম। তিনি বলেন, ‘জেমি বাংলাদেশে অনেক বড় প্রভাব রাখতে পারে। তার যে অভিজ্ঞতা আছে বা তার সাথে কাজ করার যে অভিজ্ঞতা আমাদের আছে...। আমরা সিরিজের মধ্যে আছি তাই এই সময়টা ওর জন্য একটু কঠিন। কমবেশি যতটুক পারছে চেষ্টা করছে।’
তামিমের বিশ্বাস, তরুণরা অনেক বেশি উপকৃত হবে জেমির সাহচর্যে। তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত তরুণরা ওর কাছ থেকে অনেক উপকৃত হবে।’
তবে তামিম মনে করেন, কোচদের সব কথা না শুনে ভালোভাবে ২-৩টিকে শুনতে হবে, যেটা কাজে লাগবে। এ নিয়ে তামিম বলেন, ‘আমি সবসময় একটা কথা বলি- একটা কোচ ১০টা অপশন দিবে, আপনার বুঝতে হবে কোন ২-৩টি আপনার কাজে লাগবে। সবকিছু শুনলে কাজ না-ও হতে পারে। নিজের দায়িত্বে বুঝতে হবে কোনটা কাজে লাগবে, আপনি সিনিয়র-জুনিয়র যে-ই হোন।’
আইএইচএস/