জাতীয়

দুদকে রিভিউ আবেদন করবেন চাকরিচ্যুত শরীফ

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে সম্প্রতি চাকরিচ্যুত মো. শরীফ উদ্দিন তার অপসারণের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি সবশেষ দুদকের পটুয়াখালী জেলার উপ-সহকারী পরিচালক পদে কর্মরত ছিলেন।

Advertisement

মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন শরীফ উদ্দিন নিজেই। তিনি বলেন, ‘আগামীকাল (বুধবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি) আমার অপসারণ আদেশের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করবো। দুদকের চাকরিবিধি অনুযায়ী অপসারণের বিরুদ্ধে কমিশনে রিভিউ আবেদন করার সুযোগ রয়েছে। এটি দুদক চাকরিবিধির ৪৮ ধারায় উল্লেখ রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘রিভিউ আবেদনেও যদি আমি প্রতিকার না পাই, তবে আদালতের দ্বারস্থ হবো। এ বিষয়ে আমি ইতোমধ্যে আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেছি।’

বিধিমালা ভঙ্গসহ একাধিক অভিযোগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি শরীফ উদ্দিনকে চাকরিচ্যুত করে দুদক। পরদিন এ ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকাসহ ২১ জেলার দুদক কর্মকর্তারা নজিরবিহীনভাবে মানববন্ধন করে প্রতিবাদ করেন। এছাড়া হঠাৎ করে এই কর্মকর্তার চাকরিচ্যুতির বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা তৈরি হয়।

Advertisement

প্রথম দিকে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু না জানালেও ২০ ফেব্রুয়ারি সংবাদ সম্মেলন করে শরীফের বিরুদ্ধে ১৩টি অভিযোগ জানান দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন। যদিও এসব অভিযোগের ব্যাখ্যা গণমাধ্যমে পাঠিয়েছেন শরীফ।

অন্যদিকে ২০ ফেব্রুয়ারি শরীফের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে হাইকোর্টে চিঠি পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ (মঙ্গলবার) হাইকোর্ট চিঠিটি রেখে আইনজীবীদের বলেন, সংক্ষুব্ধ হলে তারা যেন রিট দায়ের করেন।

জানা গেছে, গত বছরের ১৬ জুন শরীফকে চট্টগ্রাম থেকে পটুয়াখালীতে বদলি করা হয়। চট্টগ্রামে চাকরির সময় একের পর এক অভিযানে নেতৃত্ব দিয়ে আলোচনায় আসেন শরীফ।

শরীফের অভিযোগ, চাকরিচ্যুতির কিছুদিন আগে ৩০ জানুয়ারি তাকে চট্টগ্রাম নগরের খুলশী থানা এলাকার বাসায় এসে সদলবলে পেট্রোবাংলার ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা হুমকি দিয়ে যান। সেদিন এক সপ্তাহের মধ্যে শরীফের চাকরি খেয়ে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। এ ঘটনায় বিষয়টি কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পাশাপাশি খুলশী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন শরীফ উদ্দিন।

Advertisement

এই জিডি তদন্তের সময় সিসিটিভি ফুটেজে পেট্রোবাংলার অবসরকালীন ছুটিতে থাকা পরিচালক (পরিকল্পনা) আইয়ুব খানের উপস্থিতি দেখতে পায় পুলিশ। যদিও কী কারণে সেদিন আইয়ুব খান শরীফের বাসায় গিয়েছিলেন তা নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।

মিজানুর রহমান/এইচএ/জিকেএস