ঝিনাইদহে হোমিও চিকিৎসক ছমির উদ্দিন মন্ডল হত্যার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)। এতে ওই এলাকার মানুষের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। ইতোমধ্যে বেরিয়ে আসছে নতুন নতুন তথ্য। প্রশাসনের দাবি তিনটি বিষয়কে ঘিরে হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চলছে। তবে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আইএস জড়িত থাকার কথা স্বীকার করছে না প্রশাসন।এদিকে, ইসলাম থেকে খ্রিষ্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়ায় তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে আইএসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।ওয়ান ওয়ে চার্চ বাংলাদেশের ধর্ম যাজকেরা জানান, তিনি ধর্মান্তরিত হয়ে খ্রিষ্টান ধর্মে দীক্ষিত হয়ে ধর্ম প্রচার করায় মৌলবাদী জঙ্গিগোষ্ঠি তাকে হত্যা করেছে। ২০০১ সালে তিনি খ্রিষ্ট ধর্মগ্রহণ করেন বলেও দাবি করেন তারা।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তিনি কালুহাটি গ্রামের নিজ বাড়িতে আলাদা টিন শেডের ঘরে একা বাস করতেন। ঘটনার দিন সকালে তিনি তার চেম্বারে আসেন। অন্যান্য দিনের মতো নানান ধরনের মানুষ তার কাছে আসে। তবে কে বা কারা এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে- তা এলাকার মানুষের কাছে এখনো রহস্য রূপ নিয়েছে। কিন্তু পরিবারের লোকজন ও আত্মীয়-স্বজনের অনুরোধে সামাজিক কারণে নিজ বাড়িতে তাকে মুসলিম বিধান মতে জানাজার পর দাফন করা হয়।আলামপুর মিশনারিজ পাষ্টার জাহিদ দাবি করেন, তিনি খৃষ্টান হিসাব সরকারি বিভিন্ন অনুদান পেতেন।সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমান জানান, তিনি ইসলাম থেকে খ্রিষ্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছেন। পূর্ব শত্রুতা বা জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরসহ তিনটি বিষয় নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাত কয়েজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সদর উপজেলার বেলেখাল বাজারে নিজ চেম্বারে খুন হন হোমিও চিকিৎসক ছমির উদ্দিন মন্ডল (৮৫)। নিহত ছমির উদ্দিন মন্ডল কালুহাটি গ্রামের সুরোত আলী মন্ডলের ছেলে।এআরএ/আরআইপি
Advertisement