২৪ বছর পর শিরোপা জেতায় আনন্দের বন্যায় ভাসছে জার্মানি। জার্মানিজুড়ে রাতভর চলেছে আনন্দ-উল্লাস। আর আমেরিকা থেকে ইউরোপে প্রথমবারের মতো শিরোপা গেলেও জার্মানির সঙ্গে আনন্দে যোগ দিয়েছে ব্রাজিলও। আর্জেন্টিনার হারে সাম্বা নাচ নেচেছে ব্রাজিলীয়রা। হয়তো ফুটবলের চিরশত্রু বলেই।স্থানীয় সময় রাত নয়টা বাজার আগে থেকেই গোটা জার্মানি থমকে ছিল। বড় পর্দায় খেলা দেখতে রাস্তার ধার, পাবলিক ভিউ চত্বর শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত ভিড়ে ঠাসা ছিল। জার্মানিতে ঋতুর খাতায় গ্রীষ্মকাল। তবু আকাশে ছিল মেঘ, বৃষ্টি। আবহাওয়ায় ঠাণ্ডার আমেজ। এসবের মধ্যেই হ্যানোভারের ফাউস্ট সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের খোলা সমর্থন চত্বরে হাজির হয়েছি। বদলি খেলোয়াড় মারিও গোটশে বুক থেকে বল নামিয়ে অসাধারণ গোল করার সঙ্গে সঙ্গে পুরো জার্মানি যেন কাঁপছে। ফাউস্ট সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কয়েক হাজার মানুষ সবাই সবাইকে জড়িয়ে ধরে, উল্লাসে ফেটে পড়ছে। চিৎকার, বাঁশি আর ভুভুজেলার আওয়াজে কান পাতা দায়। তুমুল উল্লাসে হঠাৎ করেই সবাই কেমন যেন আÍহারা হয়ে অন্য রকম আচরণ করছে। কেউ বেঞ্চের উপরে ওঠে নাচছে। কেউ অবিরাম বাঁশি বাজাচ্ছে। এ এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। অনন্য রাত। গভীর রাতে রাস্তা বন্ধ করে রাস্তাজুড়ে নাচছে অসংখ্য মানুষ। দুই পাশ দিয়ে অসংখ্য গাড়ি কালো, লাল, সোনালি পতাকা দুলিয়ে আর ভেঁপু বাজিয়ে ছুটছে। জার্মানিজুড়ে সোমবার ছিল কেবল আনন্দ আর আনন্দ।এদিকে নেইমার আর্জেন্টিনা ও মেসিকে সমর্থন দিলেও সেটা মেনে নিতে পারেনি ব্রাজিল। ফাইনালে তাই আর্জেন্টিনার হারের পর সাম্বা নাচ নেচেছে ব্রাজিলীয়রা।অন্যদিকে আর্জেন্টিনা ফাইনালে হারের পর বুয়েন্স আয়ার্সে সংঘর্ষ হয়েছে। ম্যাচের আগেই হাজার হাজার আর্জেন্টাইন জড়ো হয়েছিলেন বুয়েন্স আয়ার্সের ঐতিহাসিক চত্বর ওবেলিস্কেয়। অতিরিক্ত সময়ে সব স্বপ্ন-খুন হল জার্মানির মারিও গোটশের গোলে! দলের এ হার মেনে নিতে পারেননি আর্জেন্টিনার অনেক সমর্থক। শুরু হয় সংঘর্ষ, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা। সংঘর্ষের মূল হোতা হিসেবে দায়ী করা হচ্ছে আর্জেন্টিনার কট্টর সমর্থকগোষ্ঠী ‘বারা ব্রাভাস’কে।
Advertisement