আন্তর্জাতিক

ইউক্রেনের ‘প্রকৃত খবর’ বের করা ‘কত কঠিন’, জানালেন সিএনএন সাংবাদিক

ইউক্রেন সীমান্তে ঠিক কী ঘটছে, তার সত্য খবর বের করা অনেকটাই চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে সাংবাদিকদের জন্য। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন দিক থেকে যে পরিমাণ ভুয়া তথ্য, ছবি ও ভিডিও ছড়াচ্ছে, তার মধ্যে থেকে সত্য খবর মানুষের সামনে টেনে আনা যথেষ্ট কঠিন। প্রচুর যাচাই-বাছাই করে তবেই আসল খবর তুলে ধরতে হচ্ছে গণমাধ্যমে। এই কাজটি কত বড় চ্যালেঞ্জ, তা জানিয়েছেন প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের চিফ ইন্টারন্যাশনাল করেসপন্ডেন্ট ক্লারিসা ওয়ার্ড।

Advertisement

তার মতে, অপেশাদার ভিডিওর ছড়াছড়ি, অনেক মানুষের বক্তব্যনির্ভর সংবাদ ও স্যাটেলাইটে ধরা পড়া ছবিতে অভিজ্ঞ সাংবাদিকরাও বিভ্রান্ত হতে পারেন।

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদী এলাকায় ব্যাপক গোলাবর্ষণ হওয়ার অভিযোগ করেছেন রুশপন্থি বিদ্রোহী ও স্থানীয় বাসিন্দারা। ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনী এই হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ তাদের।

তবে এ ধরনের ঘটনার প্রমাণ পাওয়া যথেষ্ট কঠিন। ক্লারিসার কথায়, ওইসব দাবির সপক্ষে দাঁড় করানোর মতো তেমন কিছু আমরা দেখিনি।

Advertisement

১৯ ফেব্রুয়ারি লুহানস্কে গোলার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত একটি ভবন। ছবি: সংগৃহীত

গত শুক্রবার সিএনএনের এ সাংবাদিক একটি ভিডিও হাতে পান, যেখানে রুশপন্থি এক বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা দাবি করেছেন, তাদের ওপর ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনী আক্রমণ করতে চলেছে। ওই ভিডিওতে বাসভর্তি মানুষ শহর ছাড়ছে এমন দৃশ্যও ছিল।

তবে সিএনএনের কর্মীরা ভিডিওটির মেটা ডেটা পরীক্ষা করে দেখেন, এটি এক সপ্তাহ আগে রেকর্ডে করা হয়েছিল।

ক্লারিসা ওয়ার্ড বলেন, ভিডিওটি আগে রেকর্ড করে পরে একটি নির্দিষ্ট সময়ে প্রকাশ করা হয়েছে। এ থেকে স্পষ্ট, এটি এক ধরনের পূর্বপরিকল্পিত চিত্রনাট্য।

Advertisement

টিকটক ভিডিওসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পোস্টগুলো থেকে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে কী ঘটছে তার কিছুটা ধারণা হয়তো পাওয়া যায়। তবে সাংবাদিকরা শুধু মুখের কথার ওপর ভিত্তি করেই খবর প্রকাশ করতে পারেন না।

ক্লারিসা বলেন, আজকাল তথ্য যাচাইয়ের জন্য অনেক ধরনের টুল (সরঞ্জাম) ব্যবহার করতে হয়। এটি পুরো কাজকে আরও জটিল করে তোলে।

গণমাধ্যম কি যুদ্ধে উসকানি দিচ্ছে?অনেক সমালোচকই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অভিযোগ করেছেন, গণমাধ্যমগুলো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পক্ষে উসকানি দিচ্ছে।

সিএনএনের মিডিয়া অ্যানালিস্ট ডেভিড জুরাউইক বলেছেন, এ ধরনের অভিযোগ তাকে রীতিমতো রাগিয়ে দেয়। বিশেষ করে, সহিংসতার সময় সাংবাদিকরাই যখন সম্মুখসারিতে থেকে খবর জোগাড় করেন।

তিনি বলেন, যুদ্ধ আর্থিকভাবে ততটা লাভজনক নয়, অন্তত টেলিভিশন শিল্পের জন্য। অনেক স্পন্সরই যুদ্ধের সময় তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপন দিতে চান না।

কেএএ/জিকেএস