আন্তর্জাতিক

রাশিয়া ইউক্রেনে ‘সর্বাত্মক আক্রমণের’ আদেশ দিয়েছে: মার্কিন মিডিয়া

রুশ সেনাদের ইউক্রেন আক্রমণ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে দাবি করে রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক প্রথমসারির সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে। সূত্র হিসেবে তারা মার্কিন গোয়েন্দা তথ্যের কথা উল্লেখ করেছে। বলা হচ্ছে, এই তথ্যের ভিত্তিতেই গত শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জোর দিয়ে বলেছিলেন, তিনি নিশ্চিত, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন আক্রমণের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। খবর এএফপির।

Advertisement

তবে এ গোয়েন্দা তথ্য ও সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত খবরের বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে কিছু বলতে রাজি হয়নি হোয়াইট হাউজ, পেন্টাগন ও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।

রোববার ওয়াশিংটন পোস্ট, সিবিএস, নিউইয়র্ক টাইমস, সিএনএন-সহ আরও কয়েকটি মার্কিন সংবাদমাধ্যমে রুশ সেনাদের ইউক্রেন আক্রমণের নির্দেশ পাওয়ার খবর প্রকাশ হয়েছে।

ওয়াশিংটন পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, যে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বাইডেন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে দাবি করেছিলেন, অধঃস্তন রুশ সেনাদের পূর্ণমাত্রায় ইউক্রেন আক্রমণের দিকে এগিয়ে যেতে আদেশ দেওয়া হয়েছে, এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকজন নামপ্রকাশ না করার শর্তে কথা বলেছেন। স্পর্শকাতর বিষয় হওয়ায় তারা নাম প্রকাশ করতে চাননি।

Advertisement

রুশ সেনাদের মহড়া। ছবি সংগৃহীত

সিএনএন বলেছে, ইউক্রেনে আসন্ন রুশ আক্রমণের ইঙ্গিত দিতে পারে, এ ধরনের আর কোনো লক্ষণ এখনো দেখা যায়নি। একটি বেনামি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে তারা সতর্ক করেছে যে, আক্রমণের আদেশ এখনো প্রত্যাহার হতে পারে অথবা পশ্চিমাদের বিভ্রান্ত করার জন্যই হয়তো এ ধরনের গোয়েন্দা তথ্য ছড়ানো হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ও এর পশ্চিমা মিত্রদের ধারণা, রাশিয়া ইউক্রেন সীমান্তের কাছে গত কয়েক সপ্তাহে দেড় লাখের বেশি সৈন্য মোতায়েন করেছে। গত শুক্রবার এক মার্কিন কর্মকর্তা সংবাদিকদের বলেছেন, এসব সৈন্যর ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ আক্রমণাত্মক অবস্থানে রয়েছে।

রুশ সেনাদের মহড়া। ছবি সংগৃহীত

Advertisement

রাশিয়া অবশ্য বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। বরং কয়েক সপ্তাহের প্রশিক্ষণ শেষে গত সপ্তাহে ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সেনা সরানো শুরু হয়েছে বলে ঘোষণা দিয়েছে ক্রেমলিন।

তবে তাদের এ ঘোষণাকে মিথ্যা বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো। তারা বলছে, রাশিয়া ইউক্রেন সীমান্তে সেনা কমানোর বদলে উল্টো বাড়িয়েছে। সাবেক সোভিয়েত দেশটিতে যেকোনো দিন আক্রমণ হতে পারে।

কেএএ/জেআইএম