নরসিংদীর মনোহরদীতে অপহরণের পর মুক্তিপণ না পেয়ে কলেজছাত্র মিঠু হোসেনকে (২৪) পিটিয়ে হত্যার তিন দিনেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আলামতও উদ্ধার হয়নি।
Advertisement
তবে পুলিশ বলছে, হত্যাকাণ্ডের ক্লু পাওয়া গেছে। শিগগির জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। তাদের গ্রেফতারে পুলিশ ও র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে।
এর আগে ১৭ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টার দিকে মনোহরদীর একদুয়ারিয়া ইউনিয়নের হুগলিয়া পাড়া গ্রামের রূপচাঁন মিয়ার বাড়ির খড়ের পাড়ার নিচ থেকে মিঠুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর দেখে রাতেই সিরাজগঞ্জ থেকে মিঠু হোসেনের পরিবারের সদস্যরা মনোহরদী থানায় আসেন। রাত ১২টার দিকে পুলিশের কাছে থাকা ছবি দেখে মরদেহ শনাক্ত করেন মিঠুর বড় বোন মিনু আক্তার। অপহরণের পর নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগে ওই রাতেই অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন তিনি।
নিহত মিঠু হোসেনের পরিবারের সদস্যরা জানান, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত অন্তত ৫০ বার মিঠুর ফোন থেকে কল করে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ চান অপহরণকারীরা। পরে টাকা না পেয়ে পিটিয়ে হত্যার পর রাতেই মিঠুর মরদেহ একটি বাড়ির খড়ের গাদার নিচে ফেলে রাখা হয়।
Advertisement
এমনকি হত্যাকাণ্ডের পরদিন বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে স্থানীয় ব্যক্তিদের মাধ্যমে খবর পেয়ে যখন মিঠুর মরদেহ উদ্ধার করতে যাচ্ছিল পুলিশ, তখনো মুক্তিপণের টাকা চেয়েছিলেন অপহরণকারীরা।
মামলার বাদী মিঠুর বড় বোন মিনু আক্তার বলেন, ঘটনার তিনদিনেও কেউ গ্রেফতার হয়নি। দ্রুত জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হোক।
এ বিষয়ে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান বলেন, হত্যাকাণ্ডের ক্লু পাওয়া গেছে। খুব শিগগির জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। তাদের গ্রেফতারে পুলিশ ও র্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছে।
সঞ্জিত সাহা/এসজে/জেআইএম
Advertisement