দেশজুড়ে

ট্রেনে পিকনিক পার্টির সঙ্গে সাধারণ যাত্রীদের সংঘর্ষ : আটক ২

চুয়াডাঙ্গায় সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস ট্রেনে পিকনিক পার্টি ও সাধারণ যাত্রীদের সংঘর্ষ হয়েছে। শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটেছে। এসময় ট্রেনের হুজপাইপ খুলে ফেলাসহ সাতটি জালানার কাঁচ ভাঙচুর করা হয়। এসময় এক যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন। তার নাম জানা যায়নি। পরে পুলিশের সহযোগিতায় পরিস্থিতি শান্ত হয়। এরপর আধা ঘণ্টা দেরিতে ট্রেনটি আবারো ছাড়ে।এদিকে এঘটনায় এক ডাক্তারসহ রাজশাহীর দুই যাত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। আটকরা হলেন, রাজশাহীর লক্ষ্মীপুর ভাটাপাড়ার সেলিম উদ্দিনের ছেলে মামুন উর রশীদ ও রাজশাহী উপ-শহর এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে ডা. রাজিউল ইসলাম।আটকদের মধ্যে ডা. রাজিউল ইসলাম নিজেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বলে পরিচয় দিয়েছেন।চুয়াডাঙ্গা রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার আনোয়ার সাদাত জানান, শনিবার ৭৬১ নং আপ সাগরদাঁড়ি ট্রেনটি খুলনা থেকে রাজশাহীর উদ্দেশে ছাড়ে। ট্রেনের চ-৪২১১ নম্বর বগিতে খুলনা থেকে ৫০-৬০ জন পিকনিকের লোকজন ওঠেন। তারা খুলনা সুন্দরবন থেকে পিকনিক শেষে রাজশাহী ফিরছিলেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে দর্শনা হল্ট স্টেশন থেকে কয়েকজন সাধারণ যাত্রী ওই বগিতে উঠলে বাংকারে ব্যাগ রাখা নিয়ে দু`পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে পিকনিকের লোকজন দর্শনা থেকে ওঠা কয়েকজন যাত্রীকে বেপরোয়া মারধর করেন এবং বাথরুমে আটকে রাখেন। দর্শনার লোকজন তাদের আত্মীয়-স্বজনকে বিষয়টি জানালে সংঘবদ্ধ হয়ে চুয়াডাঙ্গা স্টেশনে ব্যারিকেড দেন তারা। ট্রেনটি সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় চুয়াডাঙ্গা স্টেশনে পৌঁছালে তারা ট্রেনের হুজপাইপ খুলে ফেলে। এরপর পিকনিকের লোকজনের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় সাতটি জালানার কাঁচ ভাঙচুর করা হয়।রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী ও জিআরপি পুলিশ অনেক চেষ্টা করেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়। এরপর স্টেশন মাস্টার চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। পুলিশ পিকনিকের লোকজনের মধ্যে রাজশাহীর লক্ষ্মীপুর ভাটাপাড়ার সেলিম উদ্দিনের ছেলে মামুন উর রশীদ ও রাজশাহী উপ-শহর এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে ডা. রাজিউল ইসলামকে আটক করে থানায় নেয়। এরপর ট্রেনটি আধাঘণ্টা দেরিতে রাত সোয়া ৭টায় চুয়াডাঙ্গা স্টেশন ত্যাগ করে বলে স্টেশন মাস্টার জানান।সদর থানা পুলিশের ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় দু`জনকে আটক করা হয়েছে। কেউ মামলা দিলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।সালাউদ্দীন কাজল/ এমএএস

Advertisement