আন্তর্জাতিক

ইউক্রেন সংকট: নিরাপত্তা ঝুঁকিতে এশিয়া

ইউক্রেন ইস্যুতে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা যেনো কমছেই না। সংঘাতময় পরিস্থিতি ক্রমেই আসন্ন হচ্ছে। কারণ একদিকে রাশিয়ার দাবি কিয়েভে আগ্রাসন চালানোর কোনো পরিকল্পনা নেই তাদের। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব জানায়, ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে রাশিয়া। ন্যাটোও একই দাবি করে জানিয়েছে, মস্কো সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহার না করে বরং আরও বাড়াচ্ছে ।

Advertisement

তবে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এর আগে জানায়, মহড়া শেষে ইউক্রেন সীমান্ত থেকে কিছু সেনা ঘাঁটিতে ফিরিয়েছে তারা। তাছাড়া ইউক্রেনের কয়েকটি এলাকায় এরই মধ্যে গোলাবর্ষণের ঘটনা ঘটছে। তাই পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। সব কিছু ছাপিয়ে এর প্রভাব পড়েছে সারাবিশ্বে। ইউরোপের পাশাপাশি নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়েছে এশিয়াও। শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) নিক্কেই এশিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সংকট গভীর হওয়ায় জাপানসহ এ অঞ্চলের প্রধান দেশগুলোর ভূ-রাজনৈতিক ও অন্যান্য প্রভাব বিশ্লেষণ করা উচিত। একই সঙ্গে নীতিগুলো সামঞ্জস্য করা উচিত।

জানা গেছে, এরই মধ্যে জাপান রাশিয়ার ওপর সম্ভাব্য অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার প্রভাবসহ কয়েকটি বিষয়ে আলোচনা শুরু করেছে। তাছাড়া জ্বালানি সরবরাহ স্থিতিশীল রাখার বিষয়েও আলোচনা করছে দেশটি।

Advertisement

ইউক্রেনে হামলার ফলে যুক্তরাষ্ট্র যদি রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় তাহলে এশিয়ায় চ্যালেঞ্জ আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে একটি উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের কারণে এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক ল্যান্ডস্কেপে সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়ার জন্যও প্রস্তুত হতে হবে টোকিওকে। ইউক্রেন সংকট চীনের বিপরীতে জাপান ও মার্কিন প্রতিরক্ষা কৌশলকেও জটিল করে তুলতে পারে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এশিয়ায় নৌ ও আকাশ পথে চীনের সক্ষমতা এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে গেছে। ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থায় শ্রেষ্ঠত্বের কারণে চীন অনেক এগিয়ে যাবে। যা তাইওয়ান প্রণালীর পাশাপাশি পূর্ব ও দক্ষিণ চীন সাগরের স্থিতিশীলতাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

সম্প্রতি এক যৌথ বিবৃতিতে, চীন ও রাশিয়া অকাস চুক্তির সমালোচনা করেছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে ওই চুক্তি হয়। কয়েকটি ইস্যুকে কেন্দ্র করে রাশিয়া ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক সুদৃঢ় হচ্ছে, বিরোধ বাড়ছে পশ্চিমাদের সঙ্গে এতে এশিয়া অঞ্চলে নিরাপত্তা ঝুঁকি মারাত্মকভাবে বাড়ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ইউক্রেন সীমান্তের কাছাকাছি রাশিয়ার প্রায় ১ লাখ ৯০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে। গত ৩০ জানুয়ারি এ সেনা সংখ্যা ছিল প্রায় ১ লাখ। এর মধ্যে ইউক্রেন সীমান্তের কাছাকাছি আরও প্রায় ৯০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া।

Advertisement

এমএসএম/জেআইএম