বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির উদ্যোগে এবং রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সহায়তায় মিরপুর শপিং সেন্টারে গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মার্কেট সৌভিক ও মিরপুরে বসবাসকারী সব স্তরের মানুষকে টিকার প্রথম ডোজের আওতায় আনতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
Advertisement
মিরপুর শপিং সেন্টারে তিনটি বুথে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পাঁচ হাজার মানুষকে প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এজন্য রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ২০ জন কর্মী নিয়োজিত রয়েছেন।
শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের অধিকাংশ মানুষ টিকা কার্যক্রমের আওতায় আসবে। এখানে টিকা নেওয়ার জন্য এনআইডি কার্ড বা নিবন্ধন করতে হচ্ছে না। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যে কোনো ব্যক্তি নিজের তথ্য দিয়ে টিকা নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে।
Advertisement
তিনি বলেন, দেশের মানুষকে করোনাভাইরাসের হাত থেকে সুরক্ষা দিতে শেখ হাসিনার সরকার সব ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছেন। তার হাত ধরেই দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারছেন।
মিরপুর শপিং কমপ্লেক্সের দোকান শ্রমিক মোহাম্মদ আমির হোসেন এদিন টিকার প্রথম ডোজ নেন। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, আগে টিকা নিতে ভয় পেতাম। এখন যেহেতু সবাই টিকা নিচ্ছে, মার্কেটের পক্ষ থেকেও নানা ধরনের প্রচারণা চালানো হচ্ছে, তাই টিকা নিতে সাহস পেলাম। টিকা নেওয়ার পর কোনো ধরনের অসুবিধা হচ্ছে না।
এদিকে মিরপুর শপিং কমপ্লেক্সের আন্ডারগ্রাউন্ডে তৈরি করা টিকাকেন্দ্রে সকাল থেকেই মার্কেট শ্রমিকসহ এলাকাবাসীদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। ১৮ ঊর্ধ্ব বয়সীদের যারা এখনো প্রথম ডোজের টিকা পাননি তাদের এখানে প্রথম ডোজ দেওয়া হচ্ছে। তবে টিকাগ্রহীতাদের লম্বা লাইনের কারণে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা গেছে। টিকাকেন্দ্র ও আশপাশের দোকান মালিক শ্রমিকসহ অনেককেই মাস্ক ছাড়া চলাফেরা করতে দেখা গেছে।
এমএইচএম/এমকেআর/এএসএম
Advertisement