ফিচার

রানি রাসমণি ও সাগরময় ঘোষের প্রয়াণ

মানুষ ইতিহাস আশ্রিত। অতীত হাতড়েই মানুষ এগোয় ভবিষ্যৎ পানে। ইতিহাস আমাদের আধেয়। জীবনের পথপরিক্রমার অর্জন-বিসর্জন, জয়-পরাজয়, আবিষ্কার-উদ্ভাবন, রাজনীতি-অর্থনীতি-সমাজনীতি একসময় রূপ নেয় ইতিহাসে। সেই ইতিহাসের উল্লেখযোগ্য ঘটনা স্মরণ করাতেই জাগো নিউজের বিশেষ আয়োজন আজকের এই দিনে।

Advertisement

১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২, শনিবার। ৬ ফাল্গুন ১৪২৮ বঙ্গাব্দ।

ঘটনা১৩৮৯- সুলতান গিয়াসউদ্দিন তুঘলক (দ্বিতীয়) দিল্লীতে নিহত হন।১৮৭৮- টমাস আলভা এডিসন ফনোগ্রাফ পেটেন্ট করেন।১৮৯১- ‘অমৃত বাজার পত্রিকা’ দৈনিক পত্রিকা হিসেবে প্রকাশিত হয়।১৯৭৪- বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার রমনা থানার সেগুনবাগিচায় প্রতিষ্ঠিত হয়।২০১৮- বাংলাদেশে ফোরজি সেবা চালু হয়।

জন্ম১৪৭৩- বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী নিকোলাউস কোপার্নিকাস।১৬৩০- ভারতের মারাঠা সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা যোদ্ধা রাজা ছত্রপতি শিবাজী।১৭৩২- ইংরেজ নাট্যকার রিচার্ড কাম্বারল্যান্ড।

Advertisement

মৃত্যু১৮৬১- কলকাতার দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা ও জন হিতৈষী লোকমাতা রানি রাসমণি। ১৭৯৩ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর অধুনা উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার হালিশহরের কোনা গ্রামে এক মাহিষ্য পরিবারে রানি রাসমণির জন্ম। তিনি তীর্থযাত্রীদের সুবিধার্থে সুবর্ণরেখা নদী থেকে পুরী পর্যন্ত একটি সড়ক পথ নির্মাণ করেন। কলকাতার অধিবাসীদের গঙ্গাস্নানের সুবিধার জন্য তিনি কলকাতার বিখ্যাত বাবুঘাট, আহিরীটোলা ঘাট ও নিমতলা ঘাট নির্মাণ করেন। ইম্পিরিয়াল লাইব্রেরি (অধুনা ভারতের জাতীয় গ্রন্থাগার) ও হিন্দু কলেজ (অধুনা প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়) প্রতিষ্ঠাকালে তিনি প্রভূত অর্থসাহায্য করেছিলেন। এসবের জন্য তিনি সেসময় খ্যাতি অর্জন অরেছিলেন।

১৯১৫- ভারতীয় রাজনীতিবিদ গোপালকৃষ্ণ গোখলে।১৯৭৮- ভারতীয় বাঙালি কণ্ঠশিল্পী, সংগীত পরিচালক ও অভিনেতা পঙ্কজ কুমার মল্লিক।১৯৯০- ইংরেজ চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার মাইকেল পাওয়েল।

১৯৯৯- ভারতের বাঙালি সাহিত্যিক ও বাংলা সাহিত্য পত্রিকা ‘দেশ’র প্রখ্যাত সম্পাদক সাগরময় ঘোষ। ১৯১২ সালের ২২ জুন ব্রিটিশ ভারতের পূর্ব বঙ্গে, বর্তমান বাংলাদেশের চাঁদপুরে জন্ম তার। ১৯৯৭ সালে তিনি বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে দীর্ঘজীবী বাংলা সাপ্তাহিক দেশ পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। ১৯৯৯ সালে তার মৃত্যুতে লন্ডনের দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকায় প্রকাশিত শোকসংবাদে তাকে বাংলার ‘সাহিত্য ব্যাঘ্র’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছিল।

কেএসকে/এএসএম

Advertisement