করোনাভাইরাস বিভিন্ন সময়ে তার রূপ বদলেছে। কখনো ডেল্টা আবার এখন ওমিক্রন। এমনকি ওমিক্রন ধরনেরও উপ-ধরন এসেছে বিএ২। এখন আবার ডেল্টাক্রনে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। সব মিলিয়ে করোনা আতঙ্কে পুরো বিশ্বই নাজেহাল।
Advertisement
করোনাভাইরাস নিয়ে এখনো নিয়মিত গবেষণা করে চালাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। সেসব গবেষণা থেকে এমন কিছু তথ্য সামনে আসছে, যা আমাদের অবাক করে দিচ্ছে।
এবার ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিকেশন ইন দ্য হিট অ্যান্ড মাস ট্রান্সফার জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে নতুন এক গবেষণা। এতে বলা হয়েছে, করোনার ক্ষুদ্র ড্রপলেট প্রায় ২০০ ফুট পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। এমনটি এসব ড্রবলেট ৩০ ঘণ্টা বাঁচতে পারে।
করোনা ড্রপলেট যে অনেক দূর যেতে পারে তা আগেও জানা ছিল। তবে তা এতদূর যেতে পারে, তা প্রমাণিত ছিল না। এমনকি ৩০ ঘণ্টা বেঁচে থেকে এভাবেই ভেসে বেড়ায় ভাইরাসের ক্ষুদ্র কণা, তাও কারও জানা ছিল না।
Advertisement
বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনার কিছু অ্যারোসোলাইসড ড্রপলেট অত্যন্ত ক্ষুদ্র। কয়েক মাইক্রনের আকার থাকে। অনেকেরই ধারণা ছিল, ফুসফুসে তৈরি হওয়া এই ড্রপলেট শ্বাসের সঙ্গে বাইরে বের হয়েই নিচে পড়ে যায়। ফলে তা দ্রুত নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়।
তবে সাম্প্রতিক এই গবেষণা তার উল্টোটি প্রমাণ করলো।এটি পরীক্ষা করতে গবেষকরা আক্রান্তদের শরীর থেকে বের হওয়া রেপসিরেটির ড্রপলেটের মিউকাস কোট পরীক্ষা করেন।
ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব অ্যানার্জিস প্যাসিফিক নর্থওয়েস্ট ন্যাশনাল ল্যাবরেটরি থেকে জানানো হয়, এই মিউকাস কোট ভাইরাসকে আরও দূরে যেতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে একজন থেকে অন্যজনে দ্রুত পৌঁছে যায় ভাইরাস।
গবেষণার প্রদান লেখক লিওনার্দ পিস বলেন, এ কারণেই একজন করোনা আক্রান্ত মানুষ কোনো ঘর থেকে বের হলে, পরবর্তী সময়ে ওই ঘরে সুস্থ কেউ ঢুকলেও আক্রান্ত হতে পারেন করোনায়।
Advertisement
তাহলে করণীয়?
একমাত্র করোনাবিধি মানতে হবে এক্ষেত্রে। মাস্ক অবশ্যই পরতে হবে। কাপড়ের নয় বরং এন৯৫ মাস্ক পরুন। মাস্ক ড্রপলেট থেকে মানুষকে দূরে রাখতে পারে।
মাস্কের কারণে মুখ থেকে আবার ড্রপলেট বেরতেও পারে না। ফলে সংক্রমণের ঝুঁকিও কয়েকগুণ কমে। যারা এখনো টিকা নেননি, জলদি কোভিড ভ্যাকসিন গ্রহণ করুন।
সূত্র: মিন্ট
জেএমএস/জিকেএস