দেশজুড়ে

স্ত্রীসহ বিসিসির সাবেক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

জমি বিক্রির কথা বলে প্রতারণার মাধ্যমে ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার মামলায় বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা জিয়া উদ্দিন সিকদার এবং তার স্ত্রী শাহানা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বরিশাল অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুম বিল্লাহ এ আদেশ দেন।

কোতোয়ালী থানার জেনারেল রেজিস্টার অফিসার (জিআরও) এসআই খোকন চন্দ্র দাস জানান, জিয়া উদ্দিন সিকদার এবং তার স্ত্রী শাহানা জিয়ার বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় প্রতারণার একটি মামলায় তারা অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছিলেন। মামলার ধার্য তারিখে তারা হাজির না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে সময়ের আবেদন করেন। শুনানি শেষে ওই আবেদন না মঞ্জুর করে আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, জিয়া উদ্দিন সিকদার ২০১৯ সালের বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট আরিফুর রহমান খানের কাছে নগরীর রুপাতলী এলাকায় ৪৭ শতাংশ জমি কেনার প্রস্তাব দেন। প্রস্তাবে রাজি হয়ে ২০১৯ সালের ৩ জুন ওই জমির বায়না বাবদ জিয়া উদ্দিন সিকদারকে নগদ ২০ লাখ টাকা দেন আরিফুর রহমান। পরে রেজিস্ট্রি অফিসে জমির বায়নার কাজ সম্পাদন হয়। ওই বায়না দলিলে সাক্ষী হিসেবে জিয়াউদ্দিন সিকদার, জমির কেয়ারটেকার শাকিল, স্থানীয় কাওসার মোল্লা ও নাছির সিকদার। পরে নিচু জমি হওয়া আরিফুর রহমান সাত লাখ টাকা খরচ করে সেই জমি ভরাট করে। এরপর আরিফুর রহমান জমির দলিল করে দিতে অনুরোধ করলে জিয়াউদ্দিন সিকদার ও অন্যরা দীর্ঘদিন নানা অজুহাত দিয়ে ঘুরাতে থাকেন। পরে সন্দেহ হলে খোঁজ নিয়ে জান জানতে পারেন ওই জমির মালিক জিয়া উদ্দিন সিকদারের স্ত্রী শাহানা জিয়া।

Advertisement

আরিফুর রহমান প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে বায়না বাবদ দেওয়া টাকা ফেরত চান। তবে টাকা না দিয়ে তালবাহানা শুরু করেন জিয়াউদ্দিন সিকদার। এ ঘটনায় ২০২১ সালের ১০ মার্চ কোতোয়ালি মডেল থানায় জিয়া উদ্দিন সিকদার এবং তার স্ত্রী শাহানা জিয়াসহ পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন।

মামলা পর গত ১ ডিসেম্বর জিয়া উদ্দিন সিকদার এবং তার স্ত্রী শাহানা জিয়াসহ পাঁচজনকে আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। আদালত ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত তাদের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন।

সাইফ আমীন/আরএইচ/জিকেএস

Advertisement