তথ্যপ্রযুক্তি

মাইক্রোসফট-অ্যাপলের জন্য নতুন বাগ হ্যাকারদের

সাইবার অপরাধীদের তৎপরতা সর্বত্র। প্রযুক্তি যতই উন্নত হচ্ছে তারাও নতুন নতুন ফন্দি আটছে তাদের স্বার্থ উদ্ধারে। সম্প্রতি আমেরিকার সাইবার সিকিউরিটি এবং ইনফ্রাস্ট্রাকচার সিকিউরিটি এজেন্সি (CISA) সতর্ক করে দিয়েছে নতুন একটি বাগ সম্পর্কে।

Advertisement

নতুন এই বাগ জনপ্রিয় টেক কোম্পানি যেমন মাইক্রোসফট, ওরাকল, অ্যাপাচে, অ্যাপল ইত্যাদির জন্য বিপদ সৃষ্টি করতে পারে।সম্প্রতি এমন প্রায় ১৫টি সমস্যা লক্ষ্য করা গিয়েছে। নতুন এই বাগ সমস্যা নিয়ে এরই মধ্যে সতর্ক হতে বলেছে আমেরিকার সাইবার সিকিউরিটি এবং ইনফ্রাস্ট্রাকচার সিকিউরিটি এজেন্সি।

প্রতি বছরই এই সিকিউরিটি সংস্থা তাদের গবেষণা পরকাশ করে। এবার তাদের নজরে এসেছে একসঙ্গে ১৫টি সমস্যা। তারা লক্ষ্য করেছে সাইবার অ্যাটাকের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের নতুন ম্যালিসিয়াস সাইবার অ্যাক্টর। এদের প্রধান লক্ষ্য হল বিভিন্ন ধরনের জনপ্রিয় হাইটেক কোম্পানি।

আমেরিকার সাইবার সিকিউরিটি এবং ইনফ্রাস্ট্রাকচার সিকিউরিটি এজেন্সি নির্দিষ্ট সময়ের ভিত্তিতে লক্ষ্য করেছে যে বিভিন্ন ধরনের ম্যালিসিয়াস সাইবার অ্যাটাকের জন্য নতুন ধরনের বাগের ব্যবহার করা হতে পারে। এজন্য হ্যাকাররা বিভিন্ন ধরনের নতুন বাগের সাহায্য নিতে পারে।

Advertisement

মাইক্রোসফট,অ্যাপল ও অন্যান্য বিভিন্ন হাইটেক ডিভাইসের ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি করেছে নতুন ম্যালিসিয়াস বাগ। এই ধরনের বাগের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ডিভাইসে সমস্যার সৃষ্টি করছে হ্যাকাররা। এই ধরনের সমস্যার পেছনে রয়েছে এক ধরনের বাগ, যা অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেসের ক্ষেত্রে কাজ করে।

আমেরিকার সাইবার সিকিউরিটি এবং ইনফ্রাস্ট্রাকচার সিকিউরিটি এজেন্সি নির্দিষ্ট সময় ধরে বিভিন্ন বিষয়ের ওপরে লক্ষ্য রেখে গিয়েছে। এর ফলে তারা লক্ষ্য করেছে যে নতুন ধরনের এই র্যানসামওয়ার টেকনিকের সাহায্য নিয়ে বিভিন্ন ধরনের বাগের মাধ্যমে সাইবার ক্রাইম ঘটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

এই ধরনের আধুনিক টেকনিক ব্যবহার করে হ্যাকারদের প্রধান লক্ষ্য হল মাইক্রোসফট ও অ্যাপলের মতো হাইটেক কোম্পানি। এর ফলে এখন থেকেই সতর্কতা অবলম্বন করার প্রয়োজন রয়েছে।

সাইবার সিকিউরিটি এবং ইনফ্রাস্ট্রাকচার সিকিউরিটি এজেন্সি, দ্য ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেসন (FBI), ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সি (NSA) জানিয়েছে, যে এর ফলে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব পড়তে পারে ইনফ্রাস্ট্রাচকচার সেক্টরে।

Advertisement

২০২১ সাল থেকেই এই ধরনের র্যানসামওয়ার টেকনিকের সাহায্য নেওয়া হয়ে চলেছে বিভিন্ন ধরনের সাইবার ক্রাইম ঘটানোর জন্য। বর্তমানে পুরো বিশ্ব জুড়েই এই সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। এর জন্য এখন থেকেই সতর্ক হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। সাইবার অপরাধীরা মূলত ফিশিং, চুরি যাওয়া ডিভাইস, দুর্বল সফটওয়ার, ভুয়া সাইট থেকে বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যক্তির তথ্য সংগ্রহ করে।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

কেএসকে/জেআইএম