ফিচার

বেবি শার্কের বিশ্বরেকর্ড

আপনার বাসায় ছোট বাচ্চা আছে আর আপনি বেবি শার্ক নামটির সঙ্গে পরিচিত নন। এমন ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা ১ শতাংশ। সারাবিশ্বের মানুষ কোনো না কোনোভাবে পরিচিত এই বেবি শার্কের সঙ্গে। নিজের বাসায় না হোক কারো বাসায় বেড়াতে গেলেন সেখানেও দেখতে পাবেন এই বেবি শার্ককে। না বেবি শার্ক কোনো বাচ্চা শার্ক হয়, এটি মূলত একটি অ্যানিমেশন।

Advertisement

প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগলের মালিকানাধীন ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফরম ইউটিউবের একটি কন্টেন্ট। যেটি নির্মাণ করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি কোম্পানি পিংকফংয়।

সম্প্রতি ইউটিউবে সবচেয়ে বেশিবার দেখা ভিডিওর রেকর্ড রয়েছে ‘বেবি শার্ক ড্যান্স’ ভিডিওটির। এমনকি এটি একমাত্র ভিডিও হিসেবে ১০ বিলিয়ন ভিউ বা এক হাজার কোটিবার দেখার মাইলফলকও পার করেছে পিংকফংয়ের ভিডিওটি। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসেই ভিডিওটি ১০ বিলিয়ন বার দেখার গড়ে বলে জানায় ইউটিউব।

এমনকি ইউটিউব জানায় খুব শিগগির এই রেকর্ড কেউ ভাঙতে পারবে বলে মনে হয় না। কারণ সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিডিও তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা দেসপাসিতো ভিডিওটির বর্তমান ভিউ সংখ্যা ৭.৭ বিলিয়ন। এর আগে ‘বেবি শার্ক’ গানটিও বিশ্বরেকর্ড অর্জন করেছিল।

Advertisement

২ মিনিট ১৭ সেকেন্ডের এই গানের ভিউ ছিল ৮৮০ কোটি। যা পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার চেয়েও বেশি। ইউটিউবে নানা ভাষায় ‘বেবি শার্ক’ গানটির অসংখ্য সংস্করণ পাওয়া যায়। তবে ৮৮০ কোটি বার দেখার মাইলফলক ছুঁয়েছে যে ভিডিওটি, সেটি আপলোড করা হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান পিংকফং এর ইউটিউব চ্যানেলে।

নামিদামি কোনো শিল্পীর গাওয়া গান নয় এটি, নেহাতই একটা শিশুসুলভ গান। এমনকি গানটির গীতিকার কিংবা সুরকারের হদিস পাওয়া যায়নি।

২০১৫ সালে শুরুতে ‘বেবি শার্ক’ গানটির একটি অ্যানিমেশনভিত্তিক সংস্করণ আপলোড করেছিল পিংকফং। ২০১৬ সালের ১৮ জুলাই তারা নতুন করে গানটি আপলোড করে। দক্ষিণ কোরিয়ার শিক্ষাবিষয়ক কোম্পানি পিংকফংয়ের পরিকল্পনায় এবং কোরিয়া-আমেরিকান গায়ক হোপ সেজিওনির কণ্ঠে ভিডিওটি নির্মাণ করা হয়।

প্রকাশের পরপরই এশিয়া অঞ্চলে ভিডিওটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে শিশুদের কাছে। এক সময় ‘বেবি শার্ক’ পরিণত হয় বাচ্চাদের কান্না বন্ধ করার ওষুধে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের দর্শকদের কাছে জনপ্রিয়তা পায় ২০১৯ সালের পর। ২০২০ সালের নভেম্বরে ইউটিউবে সবচেয়ে বেশিবার দেখা ভিডিওর রেকর্ড গড়ে ভিডিওটি।

Advertisement

সূত্র: গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস

কেএসকে/জেআইএম