বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে বসতে বাধা নেই নিপুণের। মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এফডিসির চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবিই করলেন অভিনেত্রী। তিনি বলেন, আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সাধারন সম্পাদক হিসেবে কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন তিনি। আদালত থেকে তেমনই নির্দেশনা রয়েছে।
Advertisement
এদিকে ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে নিপুণের এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করা জায়েদ খানের আইনজীবী। তিনি বলেন, ‘নিপুণ এটা ঠিক বলেননি।’
জায়েদের আইনজীবী বলেন, ‘অনারেবল অ্যাপিলেট ডিভিশনের চেম্বার কোর্ট রুলটা স্টে করেননি; ওটা এখনো পেন্ডিং। দ্বিতীয়ত, অনারেবল চেম্বার জজ শুনানির সময় স্পষ্ট বলেছেন- দ্য পার্টিস আর ডাইরেক্টেড টু মেইনটেইন স্ট্যাটাস-কো ইন রেসপেক্ট অব হোল্ডিং দ্য অফিস অব সেক্রেটারি অব দ্য অ্যাসোসিয়েশন। এখানে স্ট্যাটাস-কো মেইনটেইন করতে বলা হয়েছে জায়েদ খান ও নিপুণ আক্তারকে। অর্থাৎ কেউই দায়িত্ব পালন করবেন না, পদটি ফাঁকা থাকবে।
তখন একটা প্রশ্ন উঠেছিল যে, এটা শেষ না হলে সেখানে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। তখন অ্যাপিলেট ডিভিশনের চেম্বার কোর্ট বলেছেন, এটা স্ট্যাটাস-কো থাকুক, ফুল কোর্টে শুনানি হওয়া পর্যন্ত। কিন্তু আজকে গিয়ে ওনারা কোর্টে শুনানি না করে এক সপ্তাহ সময় চেয়েছেন। বলেছেন, আমাদের তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে উনাদের জবাব দিতে হবে, এ জন্য সময় লাগবে।’
Advertisement
আইনজীবী আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি আজকে (মঙ্গলবার) সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসে নিপুণ আদালত অবমাননা করেছেন।’
এ সময় আইনজীবীর পাশেই ছিলেন জায়েদ খান। তিনি বলেন,‘শিল্পীরা আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। কিন্তু নিপুণ এগুলো যা করছে, সব গায়ের জোরে করছেন; উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করছেন। রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ শূন্যই থাকবে তাই বলেছে কোর্ট। কিন্তু তাও মানছে না।
তিনি যা কাগজ দেখাচ্ছেন তা তার আইনজীবী দিয়ে তৈরি করা। কোর্ট কোনো কিছু দেয়নি এখনও। তার জন্য দুইজনকেই অপেক্ষা করতে হবে। তা না করে তিনি তার মতো করে বসে যাচ্ছেন চেয়ারে।’
এমআই/এলএ/এএসএম
Advertisement