জাতীয়

২৫টি আন্তর্জাতিক রুটে যাওয়ার পরিকল্পনা বিমানের

সিভিল অ্যাভিয়েশনের আপগ্রেডেশনের মাধ্যমে এ বছরেই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ২৫টি আন্তর্জাতিক রুটে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। বছরের শুরুতেই নতুন আরো ৬টি রুট চালু করতে যাচ্ছে বিমান। নতুন রুটগুলো হচ্ছে- দিল্লি, ভুটান, কলম্বো, মালদ্বীপ, গুয়াংজু ও হংকং। এছাড়া ২০১৭ সালের পরিকল্পনায় রয়েছে নিউইয়র্ক, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও নারিতার মতো দুরপাল্লার গন্তব্য। এ সপ্তাহে উদ্বোধন হচ্ছে ঢাকা-কলম্বো সরাসরি ফ্লাইট।বিমান সূত্র জানায়, সম্প্রতি বোয়িং কোম্পানি থেকে কিনে আনা ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফট ‘ময়ূরপঙ্খী’ ও ‘মেঘদূত’ দিয়ে এ রুট চালু করা হবে। নতুন আনা বোয়িং দুটি মিলে বর্তমানে বিমানবহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা ১৪টি। আর যুক্তরাজ্যসহ আন্তর্জাতিক রুটের সংখ্যা ১৫টি। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটসহ দেশের সবগুলো অভ্যন্তরীণ রুটে এখন বিমানের ফ্লাইট চলছে। শিগগিরই বিমানবহরে যুক্ত হবে আরো দুটি লিজে আনা উড়োজাহাজ। ইতোমধ্যে এজন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।বিমান পরিচালনা পর্ষদ চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল জামাল উদ্দিন আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, বিমান এখন লাভের পথে উড়ছে। আরো ৬টি নতুন আন্তর্জাতিক গন্তব্যে বিমানের ডানা উড়বে সহসাই। এ বছরেই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ২৫টি আন্তর্জাতিক গন্তব্যে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আকাশে শান্তির নীড় স্লোগান’ নিয়ে বাহাত্তরের ৪ জানুয়ারি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে বিমানের জন্ম।জামাল উদ্দিন আরো বলেন, বোয়িং কোম্পানির ৬টি ব্র্যান্ড নিউ উড়োজাহাজ এখন বিমানের বহরে আছে। আরো ৪টি নতুন ড্রিমলাইনার যুক্ত হবে বিমানবহরে। এটা সম্ভব হলে বিমান হবে স্বপ্নের এয়ারলাইন্স। আগামী ৬ মাসের মধ্যে বিমানের গ্রাউন্ড সার্ভিসে বিদেশি পার্টনার সংযোগের আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, এরপর আর লাগেজ হ্যান্ডেলিংয়ে যাত্রী দুর্ভোগ থাকবে না। এয়ারক্রাফট হ্যান্ডেলিংয়েও বিমান হবে আন্তর্জাতিকমানের। সিডিউল অন টাইম করার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, গত বছর রেকর্ডসংখ্যক ১৭ লাখ যাত্রী টেনেছে বিমান। তাতে লাভের অংক দাঁড়িয়েছে ২৭১ কোটি টাকা। এর আগের দুই বছর ব্রেক ইভেনে ছিল বিমান। আগামী বছর লাভের পরিমাণ ৫০০ কোটি ছাড়ানোর টার্গেট রয়েছে। বিমান চেয়ারম্যানের মতে, বিমানের জন্য এ বছরই হবে কর্পোরেট বিজনেসের সেরা মডেল।আরএম/এসএইচএস/এমএস

Advertisement