কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ফের সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় শনিবার সকাল থেকে ইন্টার্ন ও কর্মরত চিকিৎসকরা ধর্মঘট শুরু করেছেন। এছাড়া কলেজের শিক্ষার্থীদের সকল ক্লাশ ও পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে।সর্বাত্মক এ ধর্মঘটের কারণে শনিবার ভোর থেকে হাসপাতাল ও কলেজে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। এছাড়া মহিলা চিকিৎসকরা আতংকে হাসপাতালের কর্মস্থল ছেড়ে গেছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।এর আগে গত ১ জানুয়ারি রাতে রোগীর স্বজনরা হামলা চালিয়ে ওই হাসপাতালের চার ইন্টার্ন চিকিৎসক আবদুল হান্নান, হিমেল, ইমতিয়াজ ও নাদিয়াকে মারধর ও লাঞ্ছিত করেছিল। এ ঘটনার জের ধরে থানায় মামলা দায়ের এবং আসামি গ্রেফতারের পর গত ৭ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতালে ফের চিকিৎসকদের উপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ওই ঘটনায় এ আন্দোলন কর্মসূচি শুরু হয়।হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে একদল সন্ত্রাসী হাসপাতালে হামলা চালিয়ে কর্তব্যরত ডাক্তার সজিবকে তার কক্ষ থেকে বের করে মারধর করে এবং ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার ভোর থেকে হাসপাতালের ইন্টার্ন ও কর্মরত চিকিৎসকরা চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ রেখে দুষ্কৃতকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।এছাড়া কলেজের সকল ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রাখা হয়। এদিকে চিকিৎসক ধর্মঘটের কারণে হাসপাতালে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। জরুরি বিভাগ ছাড়া সকল বিভাগে সেবা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েন দূর-দূরান্ত থেকে আগত রোগী ও তাদের স্বজনরা।কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক এ বি এম খুরশীদ আলম শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় জানান, ‘সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে ইতোমধ্যে মহিলা চিকিৎসকরা কর্মস্থল ত্যাগ করেছেন। পূর্বের হামলার ঘটনা ও গ্রেফতারের জের ধরে ফের এ হামলা চালানো হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। রোববার পর্যন্ত চিকিৎসকদের ধর্মঘট চলবে এবং পরে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’মো. কামাল উদ্দিন/বিএ
Advertisement