খেলাধুলা

উদীয়মান তরুণদের নিয়ে তাড়াহুড়ো করতে মানা তামিম-মুশফিকের

যে কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট থেকে সম্ভাবনাময় খেলোয়াড়দের তুলে আনাই থাকে আয়োজক দেশগুলোর লক্ষ্য। ভারতের আইপিএল, অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ কিংবা পাকিস্তানের পিএসএলে প্রতি বছরই দেখা মেলে অভিনব সব প্রতিভার। ব্যতিক্রম নয় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) ক্রিকেটও।

Advertisement

চলতি আসরেই যেমন ব্যাটিংয়ে নিজের জাত চেনাচ্ছেন বরিশালের তরুণ ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার। তাকে এরই মধ্যে এবারের বিপিএলের বড় আবিষ্কার হিসেবে উল্লেখ করেছেন সাকিব আল হাসান। এছাড়া বল হাতে ভালো করছেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী নিপুন, শফিকুল ইসলামরা।

তবে এদের নিয়ে তাড়াহুড়ো করার পক্ষে নন বাংলাদেশ দলের দুই সিনিয়র ক্রিকেটার তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম। সোমবার বিকেলে প্রায় কাছাকাছি সময়ে ভিন্ন দুই সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে কথা বলেছেন তামিম-মুশফিক। তাদের দুজনেরই ভাষ্য, যারা বিপিএলে ভালো করছে তাদেরকে চোখে রেখে আরও ভালো করার সুযোগ করে দেওয়া উচিত।

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের কাছে এলিমিনেটর ম্যাচে হারের পর সংবাদ সম্মেলনে বিপিএল থেকে তরুণ খেলোয়াড় উঠে আসার বিষয়ে মুশফিক বলেছেন, ‘এই বিপিএলের মাধ্যমে অনেক তরুণ খেলোয়াড়রা ভালো করছে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য এটা অবশ্যই অনেক ভালো একটা দিক। আমার মনে হয় অনেক খেলোয়াড়ই আছে, আলাদা করে কারও নাম বলা কঠিন।’

Advertisement

তাদের নিয়ে তাড়াহুড়ো না করার পরামর্শ দিয়ে মুশফিক বলেন, ‘আমার মনে হয়, একটা টুর্নামেন্ট খেলেই যে একজন খেলোয়াড় জাতীয় দলে আসবে বা একটা টুর্নামেন্টে খারাপ খেলে কেউ জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ে যাবে- এই জিনিসগুলো আমার চোখে খুব একটা ভালো লাগে না।’

তাড়াহুড়ো করতে না বলার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘কেউ যদি ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলে..., হ্যাঁ এই বিপিএল ভালো খেলেছে, পরের আসরেও যদি ভালো খেলে তাহলে তাদেরকেও সুযোগ দিতে হবে, ভালোভাবে গ্রুম করতে হবে। কারণ আমাদের এই কন্ডিশনে ভালো খেলা এবং বিশ্বের যে কোনো কন্ডিশনে ভালো খেলা কিন্তু আলাদা।’

এ সময় আসন্ন বিশ্বকাপের স্বাগতিক যে অস্ট্রেলিয়া, সেটি মনে করিয়ে দিয়ে এ তারকা ব্যাটার আরও বলেন, ‘আমাদের এটাও মাথায় রাখতে হবে যে, বিশ্বকাপটা অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে হবে। তো এটা আর ওটা কিন্তু পুরোপুরি আলাদা। তাই আমার মনে হয়, যারা ভালো করছে তাদেরকে চোখে রাখা এবং যথাযথ সুযোগ করে দেওয়া যাতে তারাও আরও ধারাবাহিক হতে পারে। ধারাবাহিকতাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

অন্যদিকে তামিম ইকবাল কথা বলেছেন শেরে বাংলার প্রেসবক্সের বাইরে। খুলনা-চট্টগ্রাম ম্যাচে কয়েক ওভার ধারাভাষ্য দেওয়ার পর সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন তামিম। তখন তার কাছে প্রশ্ন রাখা হয়, এবারের আসর থেকে উঠে আসা তরুণ খেলোয়াড়দের বিষয়ে।

Advertisement

তখন তামিম বলেন, ‘একজনের নাম আলাদা করে বলা কঠিন। অনেকেরই তো কিছু ভালো ভালো পারফরম্যান্স আছে। তবে কোনো সময় ৩-৪-৫ ম্যাচ দেখে আমার রায়টা দিয়ে দিতে চাই না। আমার কাছে মনে হয়, যদি পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে কেউ অনেক বেশি ভালো করে..., এই বছর না শুধু, পরের বছরও যদি সেইম পারফরম্যান্স করে, তাহলে আমরা এ বিষয়ে কথা বলতে পারি।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘দুই-তিন-চার ম্যাচ যে কারও ভালো যেতে পারে, খারাপও যেতে পারে। এটা নিয়ে খুব উত্তেজিত হওয়ার কিছু নেই। আমার কাছে মনে হয়, তারা সবাই বাংলাদেশি ক্রিকেটার, আমাদেরই ক্রিকেটার। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আপনারাই বুঝতে পারবেন, কারা ভালো, কাদের মধ্যে বিশেষ কিছু আছে। আমার কাছে মনে হয়, এখনই মন্তব্য করার সময় আসেনি।’

এসএএস/আইএইচএস/এএসএম