যতই দিন যাচ্ছে রাশিয়া এবং ইউক্রেন নিয়ে উত্তেজনা বাড়ছেই। এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধের আবহ তৈরি হয়েছে। পশ্চিমা দেশগুলো এরই মধ্যে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে, রাশিয়া হয়তো ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে। কিন্তু দুদেশের মধ্যে যেন যুদ্ধ শুরু না হয় সেজন্য অনেক দেশই এগিয়ে এসেছে। আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন তারা।
Advertisement
এরই অংশ হিসেবে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কলজ ইউক্রেনে পৌঁছেছেন। এরপরেই তিনি যাবেন রাশিয়ায়। সোমবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে পা রেখেছেন ওলাফ।
ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় এক লাখ সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। সে কারণেই যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে নিজ দেশের নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে বিভিন্ন দেশ। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, নেদারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, এস্তোনিয়াসহ ডজনখানেক দেশ তাদের নাগরিকদের দ্রুত ইউক্রেন ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে। তবে কোনো ধরনের আক্রমণ চালানোর পরিকল্পনার কথা অস্বীকার করেছে মস্কো।
এদিকে একটি জার্মান সংবাদমাধ্যম গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে বলছে, বুধবারই রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে। এ বিষয়ে জার্মান সরকারকে তথ্য দিয়েছেন গোয়েন্দারা। যদিও সরকারিভাবে জার্মানি এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। হোয়াইট হাউজও এই খবরের সত্যতা স্বীকার করেনি। তবে যুদ্ধের আশঙ্কা যে বৃদ্ধি পেয়েছে, তা জার্মানি, ন্যাটো, অ্যামেরিকার মন্তব্য থেকেই স্পষ্ট।
Advertisement
সম্প্রতি জার্মানির কাছে অস্ত্র সহায়তা চেয়েছে ইউক্রেন। তবে জার্মানি এখনই এ ধরনের সহায়তা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা আজ (সোমবার) বৈঠকে বসতে পারেন। সব ঠিক থাকলে মঙ্গলবার মস্কোয় যাওয়ার কথা জার্মান চ্যান্সেলরের। সেখানে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তার বৈঠক হওয়ার কথা।
অপরদিকে সীমান্তে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা নিরসনে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রাশিয়া এবং ইউরোপীয় নিরাপত্তা গ্রুপের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চায় ইউক্রেন। বৈঠকের বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিতে এবং সীমান্তে সেনা মোতায়েন বিষয়ে জানাতে মস্কোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা।
ইউক্রেন সীমান্তে সেনা মোতায়েন করে কার্যত দেশটিকে ঘিরে ফেলেছে রাশিয়া। স্যাটেলাইটের চিত্রে দেখা গেছে, এরই মধ্যে ইউক্রেনের তিনদিকে অর্থাৎ বেলারুশ, ক্রিমিয়া ও পশ্চিম রাশিয়ায় ব্যাপক সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েন করেছে মস্কো।
এর আগে ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ায় সফর করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। মস্কো সফরে তিনি পুতিনের সঙ্গে ইউক্রেন ইস্যুতে বৈঠক করেছেন। দুদেশের পক্ষ থেকেই ওই বৈঠককে ইতিবাচক বলে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ ওই সফরের সময়ই জানিয়েছেন যে, তিনি ইউক্রেনেও সফর করবেন।
Advertisement
সূত্র: বিবিসি, ডয়েচে ভেলে
টিটিএন/জেআইএম