নিকারাগুয়ার একটি কারাগারে দেশটির সাবেক বিদ্রোহী নেদা হুগো টরেসের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। রাষ্ট্রদোহের মামলায় আট মাস আগে তাকে সাজা দেওয়া হয়েছিল। খবর বিবিসির।
Advertisement
অবসরপ্রাপ্ত এই জেনারেল দেশটির বিপ্লবের সময় বর্তমান প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগার পক্ষে লড়াই করেছিলেন। ১৯৭৪ সালে তাকে জেল থেকে মুক্ত হতে সহায়তা করেছিলেন।
কিন্তু পরে তিনি ওর্তেগাকে স্বৈরশাসক হওয়ার জন্য অভিযুক্ত করেন এবং একটি বিরোধী দল প্রতিষ্ঠা করেন। গত বছরের নির্বাচনের আগে গ্রেফতার হওয়া বিরোধী দলের অন্যতম নেতা ছিলেন তিনি।
টরেসের স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ার পর একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। সেখানেই তিনি মারা যান। তবে তিনি কিভাবে মারা গেছেন সে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়।
Advertisement
টরেসের সন্তানরা তাদের বাবার মৃত্যুতে গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন। ১৯৭০ সালে আনাস্তাসিও সোমোজার নৃশংস একনায়কত্বের বিরুদ্ধে স্যান্ডিনিস্তা বিপ্লবের অন্যতম নায়ক ছিলেন টরেস। ওর্তেগাকে মুক্ত করার জন্য একটি ঝুঁকিপূর্ণ অপারেশনে অংশ নিয়েছিলেন।
গত জুনে গ্রেফতার হওয়া ৪৬ জন সাবেক বিদ্রোহীর মধ্যে টরেসও ছিলেন। তাদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বাধা দেওয়া হয়েছিল। এর ফলে ওর্তেগা টানা চতুর্থ মেয়াদে নির্বাচিত হন।
১৯৯৫ সালে তৎকালীন বিরোধী দল উনামোসের ভাইস-প্রেসিডেন্ট টরেসের বিরুদ্ধে জাতীয় অখণ্ডতা নষ্ট করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছিল। টরেসকে আটক করার পর থেকে তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। তার দল বলছে, গত মাসে তার স্বাস্থ্যের অবস্থা সম্পর্কে সরকারকে বার বার জিজ্ঞাসা করা হয়েছে। কিন্তু কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
এদিকে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচলেট ওর্তেগা সরকারের নিন্দা করেছেন। তিনি বলেন, টরেসকে অমানবিক পরিস্থিতিতে গ্রেফতার করা হয় এবং কঠোর আইনি প্রক্রিয়ার শিকার হতে হয়েছে।
Advertisement
টিটিএন/জিকেএস