অর্থনীতি

মন্দা কাটছে না রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর

ভালো চলছে না দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো। সাম্প্রতিক সময়ে বড় কোনো দুর্নীতি ও অনিয়মের তথ্য প্রকাশ না পেলেও খুড়িয়ে চলছে এ ব্যাংকগুলো। ফলে কমে যাচ্ছে পরিচালনা মুনাফা। মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন সাধারণ গ্রাহকরা।সূত্র জানায়, রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী, বেসিক ব্যাংক, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক নতুন ব্যবসায় ভালো করতে পারছে না। ভালো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কাছে ঋণ নিতে যাচ্ছে না। হয়রানি আর কালক্ষেপেণের কারণে ভালো প্রতিষ্ঠানগুলো রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো এড়িয়ে যাচ্ছেন।সূত্র আরো জানায়, এ কারণে রাষ্ট্রায়ত্ত এসব ব্যাংকের আমানত ও ঋণ অনুপাত ব্যাপক হারে কমে গেছে। যেখানে ব্যাপক হারে প্রবৃদ্ধি করেছে বেসরকারি খাতের বেশির ভাগ ব্যাংক। শুধু তাই নয়, ব্যাংকিং খাতের বেসরকারি ব্যাংকের অবদানও দিন দিন দ্রুত গতিতে বেড়ে যাচ্ছে। প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে পিছিয়ে পড়ছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো।জানা গেছে, ডিসেম্বর ভিত্তিতে রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী, রূপালী, বিডিবিএল, বেসিক ব্যাংকের মুনাফা কমে গেছে। যেখানে বেসরকারি খাতের ৩৮ ব্যাংকের বেশির ভাগ ভালো করেছে। সবশেষ হিসেব মতে, আমানতের বিপরীতে ঋণ প্রদানের হার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। সুদ হার কমিয়ে দিয়েছে, নতুন ব্যবসা পাচ্ছে না এসব ব্যাংক। হিসেবে মতে, ব্যাংকগুলো কোনোভাবে ১০০ টাকার আমানত সংগ্রহ করতে পারলে ৪৮ টাকা ঋণ হিসেবে বিতরণ করতে পারছে। বাকি টাকা থেকে যাচ্ছে। কিন্তু এসব আমানতে দিতে হচ্ছে সুদ। ফলে মুনাফা কমে গেছে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, ২০১৬ সালটি হবে বিনিয়োগ ও প্রবৃদ্ধির বছর। সেভাবে সব ব্যাংক পরিচালিত হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।সোনালী ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, আমরা ভালো গ্রাহক পাচ্ছি না। ফলে সমস্যা যাচ্ছে।বাংলাদেশ অর্থনীতির সমিতির সাবেক সভাপতি ড. মহিউদ্দিন আলমগীর বলেন, যে অবস্থায় চলছে, তাতে মনে করি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক কমানো উচিত। যদিও এটি সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়।এদিকে, সার্বিক ভাবেও বিনিয়োগ নিয়ে দুশ্চিন্তা কাটছে না। সোনালী ব্যাংকের কর্পোরেট শাখার একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অবশ্য বলেন, বিনিয়োগ চাঙা হলে আমাদের ঋণ প্রবাহ গতি পাবে। ভালো গ্রাহক পাবো আমরা।এসএ/আরএস/এএইচ/পিআর

Advertisement