সবগুলো নির্বাচন পরিপূর্ণভাবে শেষ করায় নিজেকে সফল বলে মনে করছেন প্রধান নির্বাচন কমশিনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা। রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ (বাংলা পাঠ) এবং জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন ২০২১ এর মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
Advertisement
কমিশনের সফলতা বা ব্যর্থতা নিয়ে নিজের মূল্যায়ন জানতে চাইলে সিইসি বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে এবং পরিপূর্ণ নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য। কোনো রকমের কারও কথায় নয়, আইনের শাসনের মধ্যে থাকার চেষ্টা করেছি। একটা পদের জন্য নির্বাচন করেন সাতজন, পাস করেন একজন। বাকি ছয়জনের সবাই তো বলেন না কিন্তু সমালোচনা তো হবেই। সমালোচনা হবে, ভালোমন্দ বলবে। এটা স্বভাবিক, এদেশের কালচার অনুযায়ী স্বাভাবিক। আগেও বলেছি এখনও বলছি হয়তো ভবিষ্যতেও বলব আশা করি।
নিজেকে সফল মনে করেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি মনে করি আমি সাফল্যের সাথে কাজ করেছি। সবগুলো নির্বাচন শেষ করেছি। একটা নির্বাচনও বাকি রাখিনি। ১০ তারিখ যেটা ছিল সেটার সময় হয়েছিল, সব নির্বাচন শেষ করে এবার আমরা পরিপূর্ণভাবে নির্বাচন শেষ করেছি।
সব নির্বাচন সুষ্ঠু ছিল কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না সব সুষ্ঠু হয়েছে তা নয়। মারামারি হয়েছে, কোথাও ব্যালট ছিনতাই হয়েছে আবার ধরা পড়েছে। নির্বাচন বন্ধ হয়েছে। আবার পুনরায় নির্বাচন হয়েছে। সুতরাং সবগুলো নির্বাচন পরিপূর্ণ সুষ্ঠু হয়েছে তা বলা যাবে না, কিছু নির্বাচন তো এমন হয়েছেই। আপনারাই (গণমাধ্যম) বলেন, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হচ্ছে, প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন হচ্ছে। শীতের দিনে রোদের মধ্যে নারী-পুরুষ লাইন দিয়ে ভোট দিচ্ছে, ৭০ শতাংশ ভোট দিচ্ছে, ইভিএমে ৭০ শতাংশ ভোট দিচ্ছে। এর চেয়ে সফল নির্বাচন আর কি হতে পারে।
Advertisement
নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের চিকিৎসা ব্যয় নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, এগুলো ব্যক্তিগত পর্যায়ের কথাবার্তা, আর বলব না।
আইএইচআর/এসএইচএস/এমএস