চুম্বনের মাধ্যমেই হয়ে যায় ভালোবাসার প্রকাশ। চুম্বনই হয়ে ওঠে ভালোবাসার প্রতীক। প্রতিবছর ১৩ ফেব্রুয়ারি পুরো বিশ্বেই ঘটা করে পালিত হয় কিস ডে। এ দিনের বিশেষত্ব হলো প্রিয়জনকে চুম্বনের মাধ্যমে ভালোবাসার গভীরতা ব্যক্ত করা।
Advertisement
প্রিয়জনকে চুম্বন করা খুবই স্বাভাবিক একটি বিষয়। তবে টানা দু’দিনেরও বেশি সময় ধরে চুম্বন করার বিষয়টি অবিশ্বাস্য বটে। জানলে অবাক হবেন, এমনই এক ঘটনা ঘটিয়ে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডে নাম লেখান এক থাই দম্পতি।
বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘতম চুমুর তালিকায় ২০১১ সালে তাদের নাম ওঠে। বিগত ১০ বছরেও তাদের নাম তালিকা থেকে কাটতে পারেনি অন্য কেউই। টানা ৪৬ ঘণ্টা ২৪ মিনিট ধরে তারা চুম্বনরত ছিলেন।
হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষী এককাচাই তিরানারত (৪৪) ও গৃহবধূ লাকসানা (৩৩) এই দীর্ঘ চুম্বনে জয়ী হয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেন।
Advertisement
২০১১ সালে থাইল্যান্ডের পাতায়াতে ভ্যালেন্টাইন’স ডে’তে আয়োজিত ‘রিপলি’স বিলিভ ইট অর নট’ প্রতিযোগিতায় এই দম্পতি অংশগ্রহণ করে জয়ী হন।
এই প্রতিযোগিতার ভাইস প্রেসিডেন্ট সোমপ্রন নাকসুয়েট্রং বলেন, ‘তারা খুব ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন। কারণ তারা আড়াই দিন ধরে ঘুমায়নি, সারাক্ষণ দাঁড়িয়ে চুম্বনরত ছিলেন।’
এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া মাধ্যমে সবার চোখের সামনেই তারা একটানা দু’দিনেরও বেশি সময় ধরে চুম্বনরত ছিলেন। এই জুটি এক লাখ বাথ নগদ ও ২টি হীরার আংটি পুরষ্কার পান।
তাদের মতো আরও ১৪ দম্পতি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। যদিও তাদের খাওয়া, পান (স্ট্র’র সাহায্যে) ও শৌচাগার ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
Advertisement
তবে আলিঙ্গনরত অবস্থায় সব করতে হবে। এক যুগল তো প্রতিযোগিতা শুরুর আধা ঘণ্টার মধ্যেই অজ্ঞান হয়ে যান।
বসা বা ঘুমের অনুমতি ছিলো না প্রতিযোগিতায়। আয়োজকরা জানান, ‘আমরা দেখতে চেয়েছিলাম ভালোবাসার শক্তি কতখানি। কারণ এক স্থানে দিনের পর দিন দাঁড়িয়ে থেকে চুম্বন করা মোটেও সহজ বিষয় নয়।’
এর আগে ২০০৯ সালে ৩২ ঘণ্টা চুম্বনরত থেকে বিশ্বরেকর্ড গড়েন জার্মানির এক দম্পতি। তাদের নাম নিকোলা মাতোভিক ও ক্রিস্টিনা রেইনহার্ট।
সূত্র: বিবিসি/দ্য হিন্দু/
জেএমএস/জেআইএম