আইন-আদালত

খাল-বিল ভরাটে আদালতের স্থিতাবস্থা অমান্য, ডিসি-এসপিকে নোটিশ

পূর্বাচলের পাশে বিভিন্ন এলাকায় একাধিক হাউজিং কোম্পানি জলাধার, খাল, বিল, নিচু ভূমির মাটি ভরাট ও দখলের ওপর হাইকোর্টের দেওয়া স্থিতাবস্থার (যে অবস্থায় আছে সে অবস্থা) আদেশ অমান্য করায় নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপারসহ (এসপি) আটজনের প্রতি আদালত অবমাননার লিগ্যাল (নোটিশ) পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

নোটিশে হাইকোর্টের স্থিতাবস্থার আদেশ নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যে বলা হয়েছে। আগামী সাতদিনের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে আবেদন দায়ের করা হবে বলেও লিগ্যাল নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) চেয়ারম্যান জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। তিনি নিজেই জাগো নিউজকে নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নোটিশে বলা হয়, পূর্বাচলের পাশে নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর জেলার রুপগঞ্জ ও কালিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ ও জলাধার সংরক্ষণ আইন ২০০০ এর বিধান লঙ্ঘন করে একাধিক হাউজিং কোম্পানি জলাধার/খাল/বিল/নিচু ভূমির মাটি ভরাট ও সব অবৈধ দখল এবং সাইন বোর্ড অপসারণ করার নির্দেশনা চেয়ে জনস্বার্থে এইচআরপিবি আদালতে রিট মামলা দায়ের করলে আদালত স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ দেন।

Advertisement

জনস্বার্থ বিবেচনা করে হাইকোর্ট ২০১৮ সালের ১২ নভেম্বর এবং ২০১৯ সালের ২৭ জানুয়ারি বিবাদীদের এসব অবৈধ দখল ও মাটি ভরাটের ওপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন। কিন্তু তা প্রতিপালিত হচ্ছে না, অনেক জায়গায় মাটি ভরাটের কাজ অব্যাহত রয়েছে।

নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, কয়েকদিন আগে এইচআরপিবির প্রতিনিধি ওই এলাকায় পর্যবেক্ষণে গেলে অনেক হাউজিং কোম্পানির অবৈধ দখল ও মাটি ভরাটের কাজ অব্যাহত রাখার বিষয়টি দেখতে পান। যদিও এর আগে হাইকোর্টের আদেশের পরে আদালতে বিবাদীরা পদক্ষেপ নিয়ে হলফনামা দাখিল করেছিলেন। বর্তমানে পূর্বাচলের ওই এলাকায় মাটি ভরাট করে পরিবেশের ক্ষতি করছে, কিন্তু প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে না, যা আদালত অবমাননার সামিল। তাই তাদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

লিগ্যাল নোটিশ পাওয়ার সাতদিনের মধ্যে হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর জেলার রুপগঞ্জ ও কালিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ ও জলাধার সংরক্ষণ আইন ২০০০ এর বিধান লঙ্ঘন করে একাধিক হাউজিং কোম্পানি জলাধার, খাল, বিল, নিচু ভূমির মাটি ভরাটসহ সব অবৈধ দখল বন্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হলে আদালত অবমাননার দায়ে মামলা করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

এফএইচ/এমএএইচ/

Advertisement