লাইফস্টাইল

চিনির বিকল্প হতে পারে যে খাবারগুলো

চিনি আমাদের খাদ্যাভাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। আমাদের সকাল-বিকালের খাবার এবং যেকোনো সুস্বাদু খাবারে সচারচর এই উপাদানটি ব্যবহার করে থাকি। তবে এ উপাদানটি স্বাস্থ্যের জন্যে যেমন উপকারি তেমনই রয়েছে ক্ষতিকর প্রভাবও। ডায়াবেটিস, হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপ সম্পন্ন মানবদেহের জন্যে এটি খুবই ক্ষতিকারক। তবে মিষ্টির অভাব পূরণে এই উপাদানটির বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন অন্য কিছু খাবার। চলুন জেনে নিই-বাদামী চিনি :বাদামী চিনিকে ইংরেজিতে বলা হয় ব্রাউন সুগার। আর আঞ্চলিকভাবে এটিকে আমরা সবাই লাল চিনি হিসেবেই চিনি। এটিও স্বাদের দিক দিয়ে সাদা চিনির চেয়ে কোন অংশে কম নয়। এই উপাদানটিতে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও আয়রন। এ চিনিও সাদা চিনির মতো যে কোন খাবারের সাথে ব্যাবহার করা যায়। খেজুর :মিষ্টির অভাব পুরণে ব্যবহার করতে পারেন খেজুরও। ফল হিসেবে খেজুর খুবই স্বাস্থ্যকর এবং ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যে অতিরিক্ত কোন ঝুঁকির সৃষ্টি করেনা। খেজুরকে শুকিয়ে গুড়ো করে অথবা সিরাপ তৈরি করে যেকোনো খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। মধু :মিষ্টির অভাব পূরণে চিনির উৎকৃষ্ট বিকল্প ধরা হয় মধুকে। এক কাপ চা অথবা কফিতে এক চামচ সাদা চিনির চেয়ে এক চামচ মধু অনেক উপকারি। মধু যে কেবল স্বাস্থ্যের জন্যেই ভালো তা নয়, এটি আপনাকে ওজন কমাতেও সাহায্য করবে। নারিকেল : চিনির বিকল্প হিসেবে ধরা হয় নারিকেলকেও। এটিও বেশ স্বাস্থ্যকর একটি খাবার। যদিও আপনি এটিকে চা কিংবা কফিতে ব্যবহার করতে পারবেন না তবে অন্যান্য মিষ্টি খাবারের সঙ্গে এটি অনায়সেই ব্যবহার করা যায়। ফলের রস :খাবারের সাথে মিষ্টান্ন হিসেবে ফলের জুস খেতে পারেন। যেটি চিনি ব্যবহার করে তৈরি করা যেকোনো খাবারের চেয়ে অধিক স্বাস্থ্যকর বলে জানান স্বাস্থ্যবিদরা। একগ্লাস ফলের জুসে যে পরিমাণ খনিজ ও ভিটামিন থাকে তা স্বাস্থ্যর জন্য খুবই উপকারি। গুড় : আখের থেকে উৎপাদিত চিনির পর আরেকটি গুরুত্বপুর্ন উপাদান হলো গুড়। গুড় এই উপমহাদেশের মানুষের অধিক পছন্দের একটি উপাদান। গবেষনায় দেখা গেছে চা অথবা কফির সাথে এক টুকরো গুড় আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি এবং এটি আপনার রক্ত সঞ্চালনকে স্বাভাবিক রাখে। আরএএইচ/এইচএন/পিআর

Advertisement