এইচঅ্যান্ডএম ফাউন্ডেশন, ব্র্যাক এবং এশিয়া ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘স্টিচ ফর আরএমজি: গ্লোব্যাল ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ’ বিজয়ী ছয়টি দলের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে দেশীয় কৃষি-প্রযুক্তি ভিত্তিক স্টার্ট-আপ এগ্রোশিফট। এ প্রতিযোগিতা জয়ের অংশ হিসেবে এগ্রোশিফট পাচ্ছে নির্বাচিত ফ্যাক্টরিতে প্রকল্প বাস্তবায়নের সুযোগ, ইনকিউবেশন সহায়তা এবং প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় অর্থ।
Advertisement
২০২১ সালের ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশের রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানায় কর্মরত নারীদের জন্য উন্নত জীবিকার সুযোগ, নারী-পুরুষ সমতা প্রচার এবং কারখানার কর্মক্ষমতা বাড়ানোর চ্যালেঞ্জ নিয়ে শুরু হয় ‘স্টিচ ফর আরএমজি: গ্লোব্যাল ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ’। প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ৩৯টি দেশের ১,২৫৮টি দল প্রস্তাবনা জমা দেয়। প্রাথমিকভাবে ২২০টি দলকে বাছাই করা হয়। একাধিক পর্বের বাছাইয়ের পর ৭ ফেব্রুয়ারি শীর্ষ ৬টি বিজয়ী দল ঘোষণা করা হয়।
এগ্রোশিফট বাংলাদেশের কৃষি সাপ্লাই চেইনকে আধুনিকভাবে রূপান্তর করতে একটি প্রযুক্তি-নির্ভর প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছে। এগ্রোশিফট ফিজিকাল এবং ডিজিটাল বিশ্বকে একত্রিত করতে ‘ফি-জিটাল’ ব্যবসায়িক মডেল দাঁড় করিয়েছে। যার মাধ্যমে চাহিদা একত্রিতকরণ, সোর্সিং এবং বিতরণের ব্যবস্থা করে। কোম্পাটি বর্তমানে দুটি প্রাথমিক বিক্রয় চ্যানেলে ফোকাস করছে। যেমন- ক্ষুদ্র ও মাঝারি দোকানদার (মুদি দোকান, মিষ্টি দোকান, চায়ের দোকান ইত্যাদি) এবং কারখানা কেন্দ্রীক শ্রমিক নেটওয়ার্ক।
এগ্রোশিফটের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা দীপ্ত সাহা বলেন, ‘অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক এ উদ্ভাবন চ্যালেঞ্জে সেরা ৬ বিজয়ীর মধ্যে নির্বাচিত হয়ে সম্মানিত বোধ করছি। আমরা শিগগির প্রায় ৫০০০ কারখানায় ৪৫ লাখ শ্রমিকের নিত্যপ্রয়োজনীয় কৃষিপণ্য সরবরাহে কৃষকদের সাথে শ্রমিকদের সংযুক্ত করার মার্কেটপ্লেস তৈরি করছি। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পোশাক ক্রেতা এইচঅ্যান্ডএমের কাছ থেকে স্বীকৃতি এবং অনুমোদন পাওয়ায় অনেকগুলো কারখানায় দ্রুত ব্যবসায়িক বিস্তারের ক্ষেত্রে আশাবাদী।’
Advertisement
এগ্রোশিফট তিনজন উদ্যোক্তার সমন্বয়ে গঠিত। যারা কৃষি, প্রযুক্তি, প্রকৌশল এবং অর্থায়ন- এ চার বিষয়ে পারদর্শী। তাদের লক্ষ্য কোম্পানির বড় প্রযুক্তিগত দলকে নেতৃত্ব দেওয়া, কৃষিভিত্তিক উদ্যোগ চালানো এবং কৃষক নেটওয়ার্ক তৈরি করা। তারা আশা করেন, কৃষি নিয়ে কাজ করা স্টার্টআপগুলো খুব শিগগির দেশীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
এসইউ/জেআইএম