স্বাস্থ্য

করোনায় আরও ২৭ মৃত্যু, শনাক্ত ৫২৬৮

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীসহ সারাদেশে আরও ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে পুরুষ ১৫ ও নারী ১২ জন। তাদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ২৩ ও বেসরকারি হাসপাতালে চারজন মারা যান। এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৭৭১ জনে।

Advertisement

একই সময় নতুন করে এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন পাঁচ হাজার ২৬৮ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৮ লাখ ৯৯ হাজার ৮০৩ জনে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক ও কোভিড ইউনিটের প্রধান ডা. মো. জাকির হোসেন খানের সই করা করোনা পরিস্থিতি সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ২৪ ঘণ্টায় ৪১ জনের মৃত্যু এবং সাত হাজার ২৬৪ জন নতুন রোগী শনাক্তের তথ্য জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ছিল ১৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

Advertisement

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের ৮৭১টি ল্যাবরেটরিতে ৩৩ হাজার ৮৯৬টি নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং ৩৪ হাজার ৬৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে দেশে মোট এক কোটি ২৯ লাখ ৩২ হাজার ৭৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ।

এদিকে, একদিনে করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ১১ হাজার ৩৫৩ জন। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৬ লাখ ৫৫ হাজার ৯৮১ জন।

বিভাগওয়ারি হিসাবে ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১৪ জন, চট্টগ্রামে পাঁচজন, খুলনায় চারজন, সিলেটে দুজন, রাজশাহীতে একজন, বরিশালে একজন। তবে রংপুর ও খুলনা বিভাগে এসময়ে কেউ মারা যাননি।

বয়স অনুযায়ী মৃতদের মধ্যে শূন্য থেকে ১০ বছর বয়সী একজন, ত্রিশোর্ধ্ব একজন, চল্লিশোর্ধ্ব একজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব সাতজন, ষাটোর্ধ্ব ১১ জন, সত্তরোর্ধ্ব পাঁচজন, নব্বই বছরের বেশি বয়সী একজন।

Advertisement

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ওই বছরের শেষ দিকে সংক্রমণ কিছুটা কমলেও গত বছরের এপ্রিল থেকে জুন-জুলাই পর্যন্ত করোনার ডেল্টা ধরন ব্যাপক আকার ধারণ করে। বছরের শেষ কয়েক মাস পরিস্থিতি কিছুটা শিথিল থাকলেও এ বছরের শুরু থেকে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টসহ করোনার বিস্তার আবারও বাড়তে শুরু করে।

এমইউ/এএএইচ