আন্তর্জাতিক

করোনা, জলবায়ু, ইউক্রেন ইস্যুতে বৈঠকে বসছেন কোয়াড কূটনীতিকরা

চীনবিরোধী জোট হিসেবে পরিচিত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল ঘিরে গঠিত কোয়াড্রিলেটারাল সিকিউরিটি ডায়ালগের (কিউএসডি বা কোয়াড) শীর্ষ কূটনীতিকরা শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বৈঠকে বসছেন। অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এ বৈঠক। জলবায়ু পরিবর্তন, করোনা এবং চীনের আধিপত্য বিস্তার রোধে মূলত এ বৈঠক বলে জানা গেছে। তবে ইন্দো-প্যাসিফিকে ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ে গঠিত জোট কোয়াডের শীর্ষ কূটনীতিকরা ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়া ও পশ্চিমাদের মধ্যে উত্তেজনার বিষয়টিও আলোচনায় আনবেন।

Advertisement

ইউক্রেন ইস্যুতে ওয়াশিংটন ও মস্কোর উত্তেজনার মধ্যে বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এ সপ্তাহে অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছেছেন। ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় এক লাখ রুশ সেনা অবস্থান করছে। যে কোনো সময় ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন, বলছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে বরাবরের মতোই রাশিয়া বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করে আসছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বাইডেন প্রশাসন বিশ্বকে দেখাতে চায় যে তার কাছে দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত গুরুত্ব রয়েছে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরের।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে তার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের শুরুতে এক বক্তৃতায় অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ম্যারিস পেইন বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক, জলবায়ু পরিবর্তন এবং কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বিষয়ে সহযোগিতামূলক আলোচনা হবে। দুই শীর্ষ কূটনীতিক চীন, উত্তর কোরিয়া এবং ইউক্রেন নিয়েও আলোচনা করবেন বলে জানা গেছে।

Advertisement

সমালোচকরা বলছেন, মার্কিন অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততার অভাব এই অঞ্চলে বাইডেনের অ্যাপ্রোচের বড় দুর্বলতা, যেখানে চীন অনেক ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর জন্য শীর্ষ বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে রয়ে গেছে।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের প্রস্তাবে ২০০৭ সালে কোয়াড গঠিত হয়। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনি, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জন হাওয়ার্ড, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এ জোটের অংশীদার ছিলেন সেসময়। শুরুর দিকে এটি নিষ্ক্রিয় থাকলেও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময় ২০১৭ সালের পর থেকে এটি আবার সক্রিয় করতে তৎপর হন নেতারা। এখন জো বাইডেন ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিয়ে আরও তৎপরতা শুরু করেছেন।

সূত্র: রয়টার্স

এসএনআর/জিকেএস

Advertisement