স্বাস্থ্য

নতুন ঠিকানায় ‘ওষুধ ভবন’

নতুন বছরে ঠিকানা বদল হলো ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের। সুদীর্ঘ তিন দশকেরও বেশি সময় পর মান্ধাতা আমলের নির্মিত ১০৫, মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা থেকে অধিদফতরের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মহাখালি জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ক্যাম্পাসে স্থানান্তর হয়েছে সুসজ্জিত নতুন এই ‘ওষুধ ভবন’। নতুন বছরে নতুন ভবনে নবোদ্যমে অধিদফতরের দাফতরিক কার্যক্রম চলছে।ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর প্রকাশিত বার্ষিক বুলেটিন ২০১৪ অনুসারে, দেশে ২৭৫টি অ্যালোপ্যাথিক ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান প্রায় ১২ হাজার ৮৬৫ কোটি টাকার ঔষধ ও ঔষধের কাঁচামাল তৈরি করে। এছাড়া দেশের ২৬৬টি ইউনানী ও ২০৫টি আয়ূুর্বেদিক এবং ৭৯টি হোমিওপ্যাথিক ও ৩২টি হার্বাল ঔষধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান প্রায় ৭৫০ কোটি টাকার ঔষধ উৎপাদন করে থাকে। দেশে ১ রক্ষ ১৫ হাজার ৪৩৯টি লাইসেন্সধারী ঔষধ বিক্রয়ের ফার্মেসী রয়েছে।প্রচলিত বিধি মোতাবেক এসব ঔষধ প্রস্তুতকারী ও বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনার দায়িত্ব ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর পালন করে থাকে।তাদের বিভিন্ন কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে- ঔষধ উৎপাদন কারখানার নতুন প্রকল্প মূল্যায়ন, ঔষধ প্রস্তুতের জন্য লাইসেন্স প্রদান ও নবায়ন, খুচরা ও পাইকারী ঔষধ বিক্রয় লাইসেন্স প্রদান ও নবায়ন, ঔষধের রেজিস্ট্রেশন প্রদান ও নবায়ন, ঔষধের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য সনদ প্রদান, ঔষধের কাঁচামাল ও মোড়ক সামগ্রী আমদানির জন্য ব্লকলিস্ট অনুমোদন, ঔষধ আমদানির ক্ষেত্রে ইন্ডেন্ট অনুমোদন, আমদনিকৃত তৈরি ঔষধ ও ঔষধের কাঁচামালের ছাড়পত্র প্রদান, ঔষধ রিফতানির জন্য লাইসেন্স, সার্টিফিকেট অব ফার্মাসিউটিক্যালস্ প্রোডাক্ট (সিপিপি), ফ্রি সেল সার্টিফিকেট (এফএসসি) ও গুড ম্যানুফ্যাকচারিং প্রাকটিস (জিএমপি) সার্টিফিকেট প্রদান উল্লেখযোগ্য।ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন,  ১০৫, মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকার ভবনটি বহু পুরোনো। এক সময় স্বল্প পরিসরে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে ওষুধ সেক্টরের কার্যক্রমের ব্যাপকতা বহুগুণ বেড়েছে। ফলে ওই ভবনটিতে ক্রমবর্ধমান ওষুধ শিল্পের কার্যক্রম পরিচালনায় সমস্যা হচ্ছিল।তারা আরো বলেন, স্থানীয়ভাবে অধিদফতরের পরিচালক, উপ-পরিচালক ও সহকারী পরিচালকদের ছোট ছোট কক্ষে বসে গাদাগাদি করে কাজ করতে হতো। প্রয়োজনীয় ফাইলপত্র সংরক্ষণে সমস্যা হতো। বিভিন্ন মামলার আলামত ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে জব্দকৃত ওষুধপত্র সংরক্ষণ সঠিকভাবে করা যেত না। ওষুধ সেক্টরের সঙ্গে জড়িত বহু বিদেশি মেহমানরা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসে পরিবেশ দেখে হতবাক হতেন।এমইউ/আরএস/এমএস

Advertisement