সংক্রমণের পর থেকে নানা সময়ে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) জিনগত পরিবর্তন হতে থাকে। ভাইরাসটির নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’। এ ধরনটি উচ্চ সংক্রমণশীল (কোভিড-১৯) হিসেবে পরিচিত। চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের এ ধরনটি ছড়িয়ে পড়ার খবর পুরোনো। নতুন খবর হচ্ছে এবার এক গবেষণায় দশটি নমুনা বিশ্লেষণে সবকটিতেই ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে।
Advertisement
সম্প্রতি চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) উপাচার্য অধ্যাপক ড. গৌতম বুদ্ধ দাশের নেতৃত্বে এ গবেষণা পরিচালিত হয়। এতে আর্থিক সহযোগিতা করে পোল্ট্রি রিসার্চ ও ট্রেনিং সেন্টার (পিআরটিসি)।
দেখা গেছে, গবেষণায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন বয়সের ১০টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এগুলোর পূর্ণাঙ্গ জীবনরহস্য বা জিনোম সিকোয়েন্সের ফলাফলে দেখা যায়, সবকটিতে ওমিক্রন ভ্যারিয়েটের উপস্থিতি রয়েছে। আবার এর মধ্যে চারটি নমুনায় ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের অধিকতর সংক্রমণশীল লিনিয়েজ শনাক্ত করা হয়।
ওমিক্রনে আক্রান্ত এসব রোগীর উপসর্গ ছিল খুবই মৃদু। অধিকাংশ রোগীর গলা ব্যথা, সর্দি ও হালকা জ্বর ছাড়া তেমন কোনো মারাত্মক লক্ষ্মণ ছিল না। এছাড়া তাদের শ্বাসকষ্ট কিংবা অতিরিক্ত অক্সিজেনের প্রয়োজনীয়তা পরিলক্ষিত হয়নি। আবার এ ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত রোগীর হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হয়নি এবং কোনো রোগী মৃত্যুবরণ করেননি।
Advertisement
গবেষণায় অন্যান্যের মধ্যে সহযোগী ছিলেন সিভাসুর অধ্যাপক ড. পরিতোষ কুমার বিশ্বাস, অধ্যাপক ড. শারমিন চৌধুরী, সহকারী অধ্যাপক ডা. ইফতেখার আহমেদ রানা, ডা. প্রণেশ দত্ত ও ডা. মো. সিরাজুল ইসলাম, ডা. তানভীর আহমদ নিজামী।
মিজানুর রহমান/এমএএইচ/এএসএম